ঢাকা: সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে ফিল্ড মার্শাল পদ দেওয়ার প্রস্তাব চলছে।
ফিল্ড মার্শাল পদ হলো সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদ, যা জেনারেল পদের চেয়ে উচ্চতর। এটি কেবল একটি সামরিক পদ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী নেতৃত্ব, বিশেষ অবদান, রাষ্ট্রের সামরিক নীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতীক।
তবে দেয়াটা বিষয় না, কিন্তু কী কারণে কাকে দেয়া হচ্ছে সেটা বিষয়।
বাংলাদেশে সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল উপাধিতে ভূষিত করা যেন ইতিহাসের প্রতি এক অন্ধকার ব্যঙ্গচিত্র। এবং এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের দেশ, যে যুদ্ধের পরাজিত সেনারা ফিল্ড মার্শাল হয়েও পরাজয়ের কলঙ্ক বইতে পারেনি, আজ সেই দেশেই ফিল্ড মার্শাল উপাধি এক প্রহসনে পরিণত হচ্ছে।
একদম সাফ মনে হচ্ছে ,পাকিস্তানের পরাজিত ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খান, টিক্কা খানদের ভূতেরা ঢাকায় এসে প্রেতের অট্টহাসি দিচ্ছে।
এই দেশে ফিল্ড মার্শাল কিসের জন্য? কোনো যুদ্ধ হয়েছে ? ৫ আগস্ট কোনো যুদ্ধ? কোনো বিজয় অর্জিত হয়েছে?
দেশটা একটা রঙ্গমঞ্চ হয়েছে এখন।
সবচেয়ে করুণ হলো, এই উপাধি দিয়ে যেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে থাপ্পড় মারা হচ্ছে। পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খানও ছিলেন ফিল্ড মার্শাল।
তবে ইতিহাস জানে, জাতি জানে, তার নাম মানেই হলো গণহত্যা, পরাজয়, অপমান।
একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, “সেনা প্রধানকে পদ দেওয়ার পেছনে সরকারের কিছু কৌশলগত লক্ষ্য থাকতে পারে।
নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত সরকার বসানোর ক্ষেত্রে সেনা প্রধানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে সরকার প্রধান খুশি হয়ে সম্মানে ভূষিত করবেন বলে জানা গেছে”।
ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল ছিলেন শ্যাম মানেকশ, যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
