ঢাকা: পাক হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও জামায়াত-শিবির বাংলাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। সাম্প্রতিক তাণ্ডব দেখে সে কথাই মনে পড়েছে।
পেট্রোল পাম্পসহ অর্ধশত বাস যেভাবে পোড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিক মানুষ কখনোই এভাবে পোড়াতে পারে না।
এখন আবার দাঁত নখ বের করার জন্য মুখিয়ে আছে। একবার ক্ষমতায় যেতে পারলে সব খুবলে খাবে।
লেবাসধারীরা সব গণবিরোধী শোষণমূলক চরিত্র লুকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু কী লুকিয়ে আছে?
তাদের ভাবটা এমন যে, ‘আমরা’ ক্ষমতায় গেলে তো সব ঠিকঠাক করে দিব, তাই এতো কথা নিয়ে ‘তোমাদের’ ভাবতে হবে না!
নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য অন্যান্য যে সব অপরিহার্য কাজগুলো করা দরকার, সে সম্পর্কে তারা প্রায় একেবারেই নীরব।
একাত্তর, পঁচাত্তর, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের খুনি, ২০১৩, ১৪, ১৫ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে একই বিশ্বাসঘাতক, একই খুনি, এরা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, শিবির, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে সারা দেশে পাকিস্তানি কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে।
এদের পাপের শেষ নেই।
এখন তাদের মুখে সুন্দর সুন্দর বুলি। সুপারিশ কথা শোনা যাচ্ছে।
দেশে অব্যবস্থা, লুটপাট ও দুর্নীতির রাজনীতি বন্ধ করতে একমাত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিই নাকি সক্ষম! এই মন্তব্য করেছেন দলের চট্টগ্রাম নগরের সাবেক আমির ও সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর প্যারাগন কমিউনিটি সেন্টারের মাঠে আধুনগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত যুব সমাবেশ ও সেন্টার প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন তিনি।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি মজলুম সংগঠন। দলটিকে বছরের পর বছর নিষিদ্ধ রেখে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
শেখ হাসিনা দেশ লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। এখন এস আলম গ্রুপের দোষ ঢাকতে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে হবে। ‘ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের বিকল্প নেই’বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
