কুষ্টিয়া: এই তো সম্মান লালন এবং লালন প্রেমীদের প্রতি এই সরকার আর জঙ্গী জেহাদি দলের। হলো তো লালন স্মরণোৎসব, তারপর এই প্রতিদান।

যিনি লালন একাডেমিতে দীর্ঘদিন যাবত সঙ্গীত ও যন্ত্রশিক্ষা দিয়ে আসছেন, সঙ্গীতই যার নেশা ও পেশা, যিনি কোন ডান, বাম রাজনীতির কোন অংশের সাথেই জড়িত নয়, সেই ব্যক্তিকেই লালন শাহ মাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়!

জখম করে রক্তাক্ত করে ফেলে। যা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও ভয়ের সৃষ্টি করে সকল মুক্ত চিন্তা করা মানুষদের জন্য। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করবে এই সরকার?

লালন সংগীতের অনন্য সাধক, প্রখ্যাত শিল্পী ওস্তাদ রতন শাহ এর উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে!

এ ঘটনা শুধু একজন শিল্পীর উপর হামলা নয় — এটি মানবতা, সঙ্গীত ও লালন দর্শনের উপর আঘাত।

সত্য, প্রেম ও মানবতা এই রিসেট বাংলাদেশ চেনে না।

লালন গীতি গেয়ে অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রতন শাহ। রাতের অন্ধকারে জঙ্গী জেহাদিরা ঘাপটি মেরে বসেছিল তাঁকে কোপানোর জন্য।

লালন সংগীতশিল্পীরা লালন গীতি আর না গান ভয়ে, সেই কারণেই এই হত্যা চেষ্টা।

এ-যাত্রা রতন শাহ বেঁচে গেছেন, কিন্তু তিনি তো ভয়ে আর গান গাইবেন না, কারণ দ্বিতীয়বার কোপ খেলে হয়তো তাঁর আর বেঁচে থাকা হবে না।

রতন শাহর বয়স ৪২! শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার মিললাইন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আহত রতন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের প্রয়াত আফসার আলীর ছেলে। ‘শিল্পী সমাজ’ নামে কুষ্টিয়ার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহসভাপতি রতন শাহ।

হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *