ঢাকা: সারা দেশে আগুন নিয়ে খেলা চলছে। দানব আগুন খেয়ে ফেলেছে সারা দেশ।

সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অগ্নিকাণ্ড কোনো নিরীহ ঘটনা নয়।

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার খবরটা যখন ছড়িয়ে পড়ল, তখন অনেকেই ভেবেছিল হতে পারে আরেকটা সাধারণ দুর্ঘটনা।

কিন্তু আসলে যে এটি কোনো সাধারণ ঘটনা ছিলো না। পরের দিন সকালে যখন ক্ষতির পরিমাণ বেরিয়ে এলো ১২ হাজার কোটি টাকা, তখন বোঝা গেল এটা শুধু আগুন নয়, পুরো রফতানি খাতের মেরুদণ্ডে আঘাত।

সবচেয়ে বেদনার বিষয় হলো, এই আগুন একা আসেনি। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটা বড় অগ্নিকাণ্ড। মিরপুরে ১৬ জন শ্রমিক পুড়ে মারা গেছে, আরো মারা গেছে, তবে লাশ গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।

চট্টগ্রামে কারখানা পুড়ে ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি, তারপর বিমানবন্দর। এই পরপর ঘটনাগুলো দেখে যেকোনো মানুষের মনেই প্রশ্ন আসবে এত বড় বড় দুর্ঘটনা কি আসলেই দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কিছু?

একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে – যেখানে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুদ থাকে, সেখানে কোনো নিরাপত্তা নেই? অটো ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম নেই। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

যা বোঝার বুঝে গিয়েছে জনগণ। এখন বিশেষজ্ঞ দল এনে ভাঁওতাবাজি করাচ্ছে সরকার।

বিমানবন্দরের আগুন নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে গিয়েছিল। তাহলে কেন ক্ষতি ১২ হাজার কোটি টাকা হলো?

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সাহায্য করতে তুরস্কের আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় পৌঁছেছে।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন তুর্কি প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে ১৮ অক্টোবরের অগ্নিকাণ্ডের চলমান তদন্তের কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই কথা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *