ঢাকা: দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে এরা স্বস্তি পায়। জবাই আর জবাই, ভাঙচুর, আগুন এগুলো ছাড়া আর রক্ষে নেই তাদের।
ইসকনের হাতে অপহরণের শিকার দাবি করা মুফতি মহিবুল্লাহ হুজুর নিজের মামলায় নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন। পুলিশ বলছে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখছে, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি।
তাঁর গায়ে একটা ফুলের টোকাও পড়েনি। অথচ কী নাটকটা তিনি বানালেন!
এই মুফতি নিজেই বাসে উঠে প্রথমে সিরাজগঞ্জ গেছেন, সেখান থেকে পঞ্চগড়। তারপর নিজের পায়ে শিকল বেঁধে শুয়ে পড়ছেন। অবশেষে তো ধরা পড়লেনই!
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে গিয়েছেন পুরোপুরিভাবে গাজীপুর মসজিদের ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ।
নিজেই এইভাবে পরিকল্পনা করে সাজিয়েছিলেন অপহরণ নাটক। উদ্দেশ্য হিন্দু সম্প্রদায়কে ভিলেন বানিয়ে তাদের উপর দেশব্যাপী অত্যাচার করা।
কিন্তু কথায় বলে না, অতি চালাকের গলায় দড়ি।
এই নির্লজ্জতার শেষ কোথায়?
পৃথিবীর সর্বনিম্ন মেধার এই গোষ্ঠীটির মিথ্যা বলে প্রতিবার ধরা খাওয়া দেখলে স্বয়ং ডোডো, কোয়েলার মতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গাধা প্রাণীরাও লজ্জা পেয়ে যাবে।
সেই ২০১২ সালে নন্দীরহাটের জসীম, ২০২১ সালে কুমিল্লার গদা ইকবাল থেকে আজকের ২০২৫ এর মুফতি মহিবুল্লাহ, নিজেদের মসজিদ জসীমকে দিয়ে নিজেরা ভেঙে হিন্দুদের নাম দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল ২০১২ সালে,
নিজেদের ধর্মগ্রন্থ দেবতার পায়ের নিচে নিজেরাই রেখে হিন্দুদের নাম দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল ২০২১ সালে। এগুলো তো কারো অজানা নয়।
আর আজ কী হলো? সর্বশেষ ঘটনা মুফতি মহিবুল্লাহ!
নিজেরাই নিজেদেরকে হুমকি দেয়ার নকল চিঠি লিখে নিজেরাই নিজেদেরকে অপহরণের নাটক করে হিন্দুদের নাম দিতে গিয়ে আজ ধরা পড়লো ২০২৫ সালে।
এত চতুরতা বোধহয় পাকিস্তানিরাও করেনি, যতটা এরা করছে।
এদের দেখে যে কেউ মেধাবী লজ্জায় মুখ লুকাবে।
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজী নিজেই তাঁর কথিত অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি নিজের এলাকা থেকে পঞ্চগড় চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে স্বেচ্ছায় পায়ে শিকল পরেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মুফতি মুহিবুল্লাহ বলেন, তাঁর এই যাত্রার কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। তিনি হাঁটতে বের হয়ে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেন তিনি চলতে থাকবেন।
মুফতি মুহিবুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, “আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পরে আমার মাথায় আসলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না। একপর্যায়ে আমি অটো পাইছি, অটোতে উঠছি, মীরের বাজার নামছি। নামার পরে মনে চাইল যে আমি জয়দেবপুর যাই। সিএনজি দিয়ে জয়দেবপুর গেছি।”
তিনি জানান, জয়দেবপুর থেকে বাসে উঠে গাবতলী যান এবং সেখান থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই পঞ্চগড়ের টিকিট করেন। অনেক রাতে তিনি পঞ্চগড় নামেন এবং এরপরও তিনি উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটতে থাকেন।
পঞ্চগড়ে পৌঁছানোর পরের ঘটনা আরও বিস্ময়কর। তিনি জানান, হাঁটতে হাঁটতে একপর্যায়ে তিনি পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ লাইনস হেঁটে পার হয়ে যান।
তিনি বলেন, “পার হয়ে গিয়ে আমি একটা শিকল কুড়িয়ে পাইলাম। ওইটা নিয়ে আমি এক যায়গায় প্রস্রাব করতে বসলাম। প্রস্রাব করলাম আর পায়জামায় প্রস্রাব লাগল, এর পরে জামায়ও লাগল। জামা খুইলা ফালাইলাম, পায়জামাও খুললাম। কিন্তু খোলার পরে আবার পরতে হবে এই জিনিসটা আমি আর পারি নাই ঠাণ্ডায়। ঠাণ্ডায় ওইখানে শুইয়া পড়লাম আর পায়ে শিকল দিলাম।”
