নরসিংদী: সামান্য ঘটনাতেই আগুন, ভাঙচুর, হত্যা, মব এইসব যেন খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে দেশে। মানুষের ভেতরের পশুত্ব জেগে উঠেছে মধ্যযুগীয় কায়দায়।

এবার, নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় জানোয়ার স্বামী। এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভুক্তভোগী রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)।

রিনার ছোট ছেলে তাওহিদ (৭) এখনও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। জানা গিয়েছে, তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো আর ফরহাদের শরীরের ৪০ শতাংশ। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটে, গত বুধবার গভীর রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায়।

পারিবারিক কলহে ভুগছিলেন রিনা। তাঁর স্বামী ভালো মানুষ ছিলেন না। ফলে অশান্তি থেকে বাঁচতে রিনা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকছিলেন।

এদিকে, রাত আড়াইটার দিকে রিনার স্বামী ফরিদ মিয়া (৪৪) শ্বশুরবাড়িতে গিয়েই ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী ও সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি। কতটা পাশবিক হতে পারে একটা মানুষ।

তাঁদের চিৎকারে আশেপাশের মানুষজন ছুটে এসে টিনের দরজা ভেঙে দগ্ধদের উদ্ধার করেন।

আর ফরিদ বর্তমানে কারাগারে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *