ঢাকা: পোশাক যার যার পছন্দ। কেউ তো বেঁধে ধরে দিতে পারে না, কোন নারী কী পোশাক পরবেন!
অথচ আমাদের বাংলাদেশের সমাজে নারীদের বাউন্ডারির মধ্যে এনে বল লোফালুফি খেলার চেষ্টা চলছে। কে কোন পোশাক পরবেন তা ঠিক করে দেয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজ! নারীর কোনো চয়েজ নেই!
আবার একজন নারীর গায়ে তুলছে একজন পুরুষ অনায়াসে। ইসস! কী সমাজ হয়েছে আমাদের! এই শিখছি আমরা!
ঘটনাটি ঢাকার লোকাল বাসের। বাসে উঠেছেন একজন তরুণী। তিনি পরেছেন জিন্স ও টপ।
বাসে ওঠার পর এক ব্যক্তি ঐ তরুণীকে পোশাক নিয়ে কটূ কথা বলতে শুরু করেন। যেটা তার অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু তিনি বলছেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পোশাক নিয়ে সামনের সিটে বসা এক ব্যক্তি কটু কথা বলেন, এসময় প্রতিবাদ করে ঐ তরুণী সামনে এগিয়ে যান। উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকেন তুই আমার পোশাক নিয়ে কেন কথা বলবি।
পোশাক নিয়ে কটূ কথা বলা ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ের এবার তরুণীকে চড় মারে। কত্তবড় আস্পর্ধা দিয়েছে এই রাষ্ট্র।
ঐ তরুণী তারপর ক্ষিপ্ত হয়ে পা থেকে জুতা খুলে ঐ ব্যক্তিকে জুতাপেটা করে। ঐ পুরুষটি কিন্তু মেয়েটিকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। ব্যক্তি তরুণীকে মারতে মারতে বাসের ড্রাইভিং সিটের কাছে ফেলে দেয়।
মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে লোকটি ফের জুতাপেটা করে।
নেটিজেনরা বলছেন, জুতা পেটা কম হয়েছে আর ও বেশি হওয়া উচিত ছিল। স্যালুট বোন….
তবে বিষয় হলো, এই ধর্ষক যখন এই বোনটির উপর হাত তুলে তখন কি বাসে আর কোন লোক ছিল না? ওরা কি পারলো না এই ধর্ষকে উচিত শিক্ষা দিতে?
ভিডিওতে দেখা গেছে, সবাই নাটক দেখছে, কিন্তু কেউ একটু এগিয়ে এসে তরুণীর প্রতি যে অন্যায় আচরণ হলো, তার একটু প্রতিবাদ করলো না মানুষগুলো! তাহলে কি এরা ঐ ধর্ষককে প্রশ্রয় দিলো মনে মনে?
