ঢাকা: শেখ হাসিনার আমলে এই ঘটনা ঘটলে আজকে কী পরিস্থিতি তৈরি হতো? আলেম ওলামারা বেরিয়ে আসতেন প্রতিবাদে রাস্তায়। অথচ আজ?

আজ ঢাকার রাজপথে, প্রেসক্লাবের সামনে, শিক্ষক নয় — যেন যুদ্ধাহত সৈনিকদের আর্তনাদ!

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ওপর টিয়ারগ্যাস, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হলো— এই বর্বরতা কার নির্দেশে?

জাতীয়করণের দাবিতে ১৭তম দিনের আন্দোলনে থাকা ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে পুলিশ। রণমূর্তি ধারণ করে পুলিশ।

সচিবালয়ের দিকে ভুখা মিছিল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় দুপুরেই এই ঘটনা ঘটে।

আজ, বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টার পর প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা সচিবালয়ের দিকে রওনা হলে পুলিশ শিক্ষকদের ঠেকাতে জলকামান ব্যবহার করে। ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেডও।

পরিস্থিতি গরম হয়ে ওঠে। তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এই ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আল আমিন এবং বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী মোখলেছুর রহমান।

স্বতন্ত্র ইবাতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের জলকামান, কাদানে গ্যাসের শেল লাঠিচার্জ প্রায় ৪৩ জন আহত হয়েছেন। সংখ্যাটা আরো বেশিও হতে পারে। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি কী কী?

১. অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন।

২. এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই করা এক হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন ও প্রজ্ঞাপন প্রকাশ।

৩. স্বীকৃত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে এমপিওভুক্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি।

৫. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার জন্য আলাদা অধিদফতর স্থাপন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *