ঢাকা: প্রায় ১৫ মাস হয়ে গেলো ২০২৪ এর ৫ আগস্টের ঘটনা। গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা।

মুজিব কন্যা যখন ভারতের আশ্রয়ে, তখন ওপার বাংলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। সরকারেরই প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবি ক্রমশই জোরালো হতে থাকে দেশে।

কিন্তু ইউনূসের তালবাহানার শেষ নেই। তিনি নির্বাচন চান না এটা একদম পরিষ্কার।

নিজের পথ ঠিক না করে, এখন আবার অন্যদের দোষ দেয়া শুরু করেছেন।

প্রশ্ন হলো, তিনি জানলেন কীভাবে কোনো বড় শক্তি নির্বাচন বানচাল করবে? এমন কোনো আভাস কি তিনি পেয়েছেন? এত দৃঢ়তা কীভাবে?

নাকি নিজেরাই বানচাল করে নাম দেবেন কোনো বড় শক্তির? যেমনটা এতদিন করে আসছেন?

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের জন্য দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে বড় শক্তিগুলো সক্রিয় হতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ছোটখাটো নয়, বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে। হঠাৎ করেই আক্রমণও হতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক, আমাদের তা অতিক্রম করতে হবে।’

এইরকম আগাম বার্তা তো মোটেও ভালো ঠেকছে না দেশবাসীর কাছে। সন্দেহের তীর ঘুরে যাচ্ছে ইউনূসের দিকেই।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হবে। নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি নানা গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই এসব অপপ্রচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রতিহত করতে হবে, যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। নির্বাচনি নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, ভোট প্রদানের পদ্ধতি এবং কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে করণীয় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *