ঢাকা: একটা দেশের “সর্বোচ্চ নিরাপত্তা” থাকে তার বিমানবন্দরে, অথচ সেই বিমানবন্দরে ‘গুদামের আগুনই’ তাৎক্ষণিক নির্বাপণ করতে পারেনি, পুরো দেশের নিরাপত্তা তো বাদই দেয়া হলো।
কী হচ্ছে দিনে দিনে দেশে? দেশের মানুষের অশান্তি সীমা পার করে গেছে।
রাজনীতিবিদদের ‘ক্ষমতার লোভে’ দেশের মানুষ নিজেদের জান-মাল দিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে, আর কত বছর?
বিমানবন্দরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তো হিসেব ছাড়া।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতের বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি করা প্রায় ৩৫ কোটি টাকার প্রযুক্তিপণ্য আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে।
১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য দেয়ার জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে।
এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি, এমনটাই বলা হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ আরো হবে, সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়ে বেশি হতে পারে।’
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এ দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করা পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।’
