ঢাকা: দেশকে কী নিরাপত্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস? ইতালি গিয়ে যে এত বড় বড় ভাষণ দিলেন এত কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছি, এই তার নমুনা?

তিনি বলেছেন, ‘আমরা ১৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে খাওয়াই, পাশাপাশি আশ্রয় দিচ্ছি ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে, যারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে এসেছে’।

তা হিসেব তো এইকথা বলছে না।

হিসেব বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলোর ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বড় ধরনের খাদ্যসংকটে পড়তে যাচ্ছে। আর চরম অপুষ্টির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে ১৬ লাখ শিশু।

বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বান্দরবান, রাঙামাটি, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ ও কক্সবাজারের মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের ৩৬ জেলার ৯ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি অবস্থা বিশ্লেষণ করে এই ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) ও জাতিসংঘের তিন সংস্থা।

প্রতিবেদনে পরিষ্কার বলা হয়েছে, বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় বছরের শেষ আট মাসে খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বলা হলো, সার্বিকভাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে।

বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) যৌথভাবে ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) (সমন্বিত খাদ্যনিরাপত্তা ধাপের শ্রেণিবিন্যাস) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

১: সর্বনিম্ন বা স্বাভাবিক,

২: চাপে থাকা,

৩: সংকটে থাকা,

৪: জরুরি অবস্থা

৫: দুর্ভিক্ষ।

খাদ্যঘাটতি, অপুষ্টি ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই পাঁচ ধাপে মূল্যায়ন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্লেষণ করা জেলার ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে থাকতে পারে।

কক্সবাজারের মানুষ সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলা হচ্ছে। এখানের ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্যসংকটের সম্মুখীন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *