ঢাকা: কত ফন্দি, কত ষড়যন্ত্র আঁটা হচ্ছে নির্বাচন না‌ হবার জন্যে! একের পর এক ইস্যু সামনে চলে আসছে।

হঠাৎ জাতীয় নির্বাচনের আগেই কেন গণভোট জরুরি হয়ে উঠলো অন্তর্বতী সরকারের কাছে? কারণ ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদি করার পথ তৈরি করাটা দরকার। এইসব কিছু ষড়যন্ত্র, পরিকল্পিত।

জামায়াত, টোকাই এনসিপি তো এই সরকারের ভিতরে আসল সরকার। ওরা দেশ চালাচ্ছে।

গণভোটের আগে জাতীয় নির্বাচন জামায়াত চায় না। আর এদিকে এনসিপি তো প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে এই সরকারের পোষ্য। অবশ্যই বুঝতে হবে, জামায়াত এনসিপি এই সরকার একটা অভিন্ন ত্রয়ী। এদের কর্মপদ্ধতি এক। সবাই মিলে চাইছে ইউনূসকে দীর্ঘস্থায়ী করতে।

একবার গণভোট একবার করে ফেলতে পারলেই এই রাজাকারের দল দাবি করবে দেশ পরিচালনার ম্যান্ডেট তারা পেয়ে গেছে, তাই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়ের কোন মানে হয়না! তাই তো সব পরিকল্পনা করে রেখেছে আগে থেকেই।

এই অন্তর্বর্তী সরকার খুব পাকাপোক্তভাবে অজুহাত খুঁজছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় বসার।

তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে, নির্বাচন পিছিয়ে দিতেও ভাববে না। তদের উদ্দেশ্যই এই।

এই জুলাই সনদটি ছিল নির্বাচন বানচালের পেছনে; তাদের একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

একবার করছে পিআর পদ্ধতির দাবি, আরেকবার গণভোটের দাবি, ইত্যাদি নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচাল করাটাই জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের মূল লক্ষ্য। এর বাইরে কিচ্ছু নয়।

দেখা গেলো, জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫–এর আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী নভেম্বরেই গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতেসহ আট রাজনৈতিক দল।

এই দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে যায় দলের প্রতিনিধিদল।

সকাল ১১টা নাগাদ দলগুলোর নেতাকর্মীরা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে ইসিতে প্রবেশ করে স্মারকলিপি জমা দেন।

গণভোটের দাবিতে অংশ নেওয়া আটটি দল—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি)।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *