ঢাকা: লোকাল বাসে করে গন্তব্যে যেতে হয় বহু যাত্রীদের। কিন্তু সেখানে নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাঁরা প্রায়শই বিভিন্ন হেনস্থার শিকার হন। আশেপাশের যাত্রীরাও দেখে চুপ করেই থাকে। এইভাবে প্রতিদিন নির্যাতন বাড়ছে।
এক তরুণী তাঁর গন্তব্যে যেতে উঠেছিলেন বাসে। কিন্তু সেখানে হঠাৎই শুরু হয় এক উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা। আর এর জেরে এক ব্যক্তিকে জুতাপেটা শুরু করেন সেই তরুণী।
তরুণীর পোশাক নিয়ে কু মন্তব্য করেছিলেন ঐ ব্যক্তি।
সেই ব্যক্তি হঠাৎ অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে ওই তরুণীর দিকে উল্টো মারমুখী হয়ে তেড়ে আসেন। এসময়
তরুণীর গায়ে হঠাৎ হাত তোলেন ওই ব্যক্তি। এমনকি তোর সাহস কত, বাস থেকে নাম এমন কটু ভাষায় আক্রমণ করেন।
আর তাতে ওই তরুণীও ক্ষেপে জুতা খুলে পেটাতে শুরু করেন ওই ব্যক্তিকে। এসময় অশালীন ভাষায় গালাগাল ও হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসের পরিবেশ।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন লেখক তসলিমা নাসরিন।
তিনি তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন:
“হাটে মাঠে ঘাটে, বাসে ট্রেনে, লঞ্চে মঞ্চে, ঘরে বাইরে, অফিসে আদালতে নারীকে অপমান করছে পুরুষ, অপদস্থ করছে পুরুষ, তুচ্ছ করছে পুরুষ, ধর্ষণ করছে পুরুষ, হত্যা করছে পুরুষ।
এই সত্যটা জন্মের পর থেকেই জেনে এসেছি। কোনও নারী যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, খুব ভাল লাগে।
দেখে মনে হতে থাকে মেয়েরা সচেতন হচ্ছে, সাহসী হচ্ছে। হয়তো সমাজ এভাবে বদলাবে।
একটা ভিডিও দেখলাম। বাসের ভেতর এক নারীবিদ্বেষী পুরুষ এক নারীর পোশাক নিয়ে মন্দ কথা বলেছিল।
সেই লোকটার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নারীটি জিজ্ঞেস করলো কেন সে তার পোশাক নিয়ে কথা বলেছে। ব্যস, নারীবিদ্বেষীটি নারীর ওপর দাঁত নখ বের করে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
পিছিয়ে যায়নি নারীটি। সেও চড়ের বদলে চড় দিয়েছে, জুতোর বদলে জুতো দিয়েছে।
তিনি লেখেন, ভায়োলেন্স কাম্য নয়। কিন্তু রাস্তাঘাটে পুরুষেরা আক্রমণ করলে মেয়েরা যেভাবে মাথা নিচু করে, মুখ লুকিয়ে, চোখের জল ফেলে, নিজেকে অপরাধী ভেবে ঘরে ফেরে , সেটি যে ঘটেনি, সে কারণেই ভিডিওটি দেখে ভাল লেগেছে”।
