ঢাকা: শাপলা চাই, শাপলা! টোকাইদের শাপলাই চাই।
এনসিপির এই দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক ‘তালিকায় নেই’ বলে প্রথমে বয়ান দিল।
এরপর হাজারবার টানা হ্যাঁচড়া করে এনসিপির অনড় অবস্থানের পর তালিকায় নতুন করে যুক্ত করল শাপলার ক্ষুদ্রতম অংশ। এর নাম—শাপলা কলি।
এদিকে, ‘শাপলা কলি’ দেখে এনসিপির চক্ষু চড়কগাছ। এটা তারা মানবেই না।
তারা পরিষ্কার করে বলছে না যদিও প্রতীকে তাদের নেতাদের চরিত্রকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তবে ভদ্রভাবে বলছে—তাদেরকে সেমিং করা হচ্ছে।
তবে এইসব তাল বাহানা। প্রতীক নিয়ে এইযে টানাটানি মূলত অন্য পরিকল্পনা থেকে করা হচ্ছে। শুধু সময় ক্ষেপণ এগুলো। আসল উদ্দেশ্য নির্বাচনকে দূরে ঠেলার পরিকল্পনা থেকে করা হচ্ছে।
যে অবস্থার দিকে দেশ যাচ্ছে, তাতে করে মনে হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হলে খোদ ফেব্রুয়ারিকেই ক্যালেন্ডারে নিজেকে পিছিয়ে নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) শাপলা কলিকে প্রতীক হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করায় সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতীকের মাধ্যমে ইসি বুঝিয়েছে-এনসিপি ‘বাচ্চাদের দল’।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা মোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, কোনো আইনি কারণ বা ব্যাখ্যা ছাড়া শাপলা প্রতীকের বদলে শাপলা কলি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর তৈরি করা ‘আমরা এখনও পরিপক্ব নই’-এমন ন্যারেটিভকে ইসি শক্তিশালী করেছে।
‘সরকারি কাগজের মাধ্যমে যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করতে চাওয়া হচ্ছে, তা নতুন প্রজন্মের ওপর কাজ করবে না,’-বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শাপলা চেয়েছিলাম, কিন্তু দেওয়া হয়েছে শাপলা কলি। কোনো সাংবিধানিক বা আইনি ব্যাখ্যা নেই। প্রশ্ন হলো-শাপলা কলি দেওয়া গেলে শাপলা দিতে সমস্যা কোথায়? তার অভিযোগ, এর মাধ্যমে ইসি ইচ্ছাকৃতভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।
