চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে মারাত্মক ষড়যন্ত্র চলছে। এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং এই লাভজনক প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে।
নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি একটি সচল ও লাভজনক টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে দেশের কোনো উপকার হবে না।
এর আগেও শ্রমিক নেতারা সতর্ক করেছেন। বলেছেন, দেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তারা অবিলম্বে সরকারকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে শ্রমিক-কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুংকার দেয়া হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমোরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ তিনটি টার্মিনাল বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার অনশনে নেমে পড়েছে ক্ষোভে বন্দর কর্মচারী-শ্রমিকেরা। তাঁরা ক্ষিপ্ত সরকারের এই সকল কর্মকাণ্ডে।
দেশবিরোধী এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে তীব্র আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় বন্দর অচলের কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তাঁদের।
আজ, শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং লালদিয়ার চরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে ডেনিশ কোম্পানি এপি মোলার মায়ার্স বা এপিএম। এর মধ্যে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি বর্তমানে চালু রয়েছে।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে না। শ্রমিকরা বিরোধিতা জানাচ্ছেই। ফলে বাধ্য হয়ে এবার গণঅনশনে নেমেছে বন্দর শ্রমিক-কর্মচারীরা।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস কে খোদা তোতন বলেছেন, বন্দরের লাভজনক টার্মিনাল ইজারা দিলে বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শ্রমিক সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও তাতে সায় দিচ্ছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। বরং ইজারা দেওয়ার পথে সবকিছু চূড়ান্ত করে এনেছে সরকার।
