ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের বাংলাদেশে ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন হিন্দু শিল্পীরা। সেই তালিকায় সুচিত্রা সেনও!
পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাসের নাম ‘জুলাই-৩৬ ছাত্রী নিবাস’। ষড়যন্ত্র করেই যে এই কর্মকাণ্ডগুলো করা হচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রশ্ন উঠছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ দেশে। কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোনদিন কোন রাজনৈতিক দল, আওয়ামীলীগ করেছেন?
উল্লেখযোগ্য যে, পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তন করার পর প্রতিবাদ আর সমালোচনার মুখে অবশেষে এক সপ্তাহের মাথায় পুনর্বহাল করা হয়েছে।
কিন্তু পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সুচিত্রা সেনের নামে করা ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, কিন্তু সেটি এখনও বহাল রয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষর করা চিঠিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্মিত পাবনা শহীদ আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ‘পাবনা জেলা স্টেডিয়াম’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পাবনা জেলা সুইমিংপুল’।
পরে, ২২ মে জেলা প্রশাসন দুটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নতুন সাইন বোর্ড টাঙ্গানো হয়। তবে সুচিত্রা সেনের নাম ফিরে আসে না।
নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু সবাই বাতিলের খাতায়।
একাত্তরের বিরোধীরা ইতিহাস ভয় পায়।তাই সব জায়গায় নাম মোছার কাজ চলছে।
কিংবদন্তি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের শেকড় পাবনার মাটিতে। পাবনা এই কারণে ধন্য। কিন্তু ইতিহাস ও সংস্কৃতি মনে রাখে না ইউনূসের বাংলাদেশ ।
তাই হঠাৎ করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই নাম মুছে ‘জুলাই-৩৬’ নামকরণ করেছে।