চট্টগ্রাম: রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা তো আর সবাই গ্রেপ্তার হয়নি। একেবারে প্রকাশ্যে না থাকলেও তাঁরা অন্তরালে থেকেই আবার সংগঠনকে গোছাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নগরীর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁরা হঠাৎ হঠাৎ মিছিল বের করে স্লোগান দিয়েই সটকে পড়ে। তেমনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, চাকসু নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের নিরংকুশ বিজয় হলেও এরই মধ্যে সেখানে রাতে ছাত্রলীগের দুটি ব্যানার টানানোর ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও চাকসু নেতাদের মধ্যেও একধরনের আলোড়ন শুরু হয়ে গেছে।
একধরনের আতংকও ঢুকে গেছে জঙ্গী ইউনুস-জামায়াত-শিবির ও বিএনপি পন্থীদের মধ্যে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে ছাত্রলীগের এই ব্যানার দুটি লাগানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সকালের আগেই এসব ব্যানার খুলে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকালে ব্যানারের দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে টনক নড়ে চবি প্রমাণসহ চাকসু নেতাদের।
দুটি ব্যানারের একটি টানানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের উত্তর পাশে, অন্যটি আবাসিক ছাত্রাবাস আলাওল হলের প্রধান ফটকে। দুটি ব্যানারেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল।
ব্যানারের নিচে ‘প্রচারে–চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’ উল্লেখ করা হয়েছিল।
আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাফসান আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আমি ২ নম্বর গেটে খাবার খেতে যাই। তখন কোনো ব্যানার ছিল না। কিন্তু ভোর পাঁচটার দিকে হলে ফিরে দেখি, ফটকে ব্যানার লাগানো হয়েছে। কারা লাগিয়েছে, জানি না।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন , ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই শিক্ষার্থীরা ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। কয়েকটি পোস্টারও লাগানো হয়েছে ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সাধারণত টহলে থাকেন না। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
প্রক্টর বলেন, ‘এমন ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য আমরা চাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
প্রসঙ্গত শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েই নয় বেশ কয়েকমাস ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও উপজেলাতেও বিচ্ছিন্নভাবে ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগের নামে ঝটিকা মিছিল বের হয়েছে ও হচ্ছে।
এর মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে হঠাৎ করে এসব মিছিল হওয়ায় পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য জানার আগেই তারা সটকে পড়ে।
