সিরাজগঞ্জ: এইডস রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বাংলাদেশে। জীবনযাপন যে কোথায় পৌঁছেছে, সচেতনতা যে একেবারেই নেই তা তো স্পষ্ট।
তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এত ধার্মিকরা বিপথে কীভাবে চালিত হন?
যাই হোক, বাংলাদেশে আগেও এইডস্ রোগীদের আনাগোনা ছিলো! কিন্তু সিরাজগঞ্জের স্ট্যাট দেখে মনে হচ্ছে–এটা খুব শিগগিরই মহামারী আকার ধারণ করতে পারে!
ইতিমধ্যেই সেখানে ২৫০+ এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে!
তবে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ঠিক কতটা সজাগ, তা তো দেখাই যাচ্ছে।
অবাধ যৌনাচার, রক্ত ইত্যাদি থেকেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এইডসে লোকজন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে যদি যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়; বিশেষ করে যত্রতত্র ব্লাডব্যাংক বিজনেসের উপর নজর না দেয় – তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, স্বাস্থ্য খাতে ভয়াবহ মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি হবে!
এত ধার্মিকতার মধ্যে সামাজিক অবক্ষয় এত কীভাবে সম্ভব? নাকি শুধুই লোকদেখানো সব ধর্মকর্ম? এই নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
সিরাজগঞ্জে এইডস রোগী বৃদ্ধির কারণ সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চূড়ান্ত অবক্ষয়।
মাদকের আঁখড়া তো চলছেই। দলীয় নেতারা সরাসরি মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। নেতাদের নিজেদের স্বার্থে অবাধ বিচরণে মাদক কারবারিরা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যায়।
মাদক আর দেহব্যবসা চলে দলীয় নেতাদের ছত্রছায়ায়।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জেলায় মোট ২৫৫ জন পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে —
* ইনজেকটিভ ড্রাগ ব্যবহারকারী: ১৮৭ জন
* কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী: ২৯ জন
* সাধারণ নাগরিক: ৩৫ জন
* যৌনকর্মী: ৪ জন
জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান জেলার জন্য এক অশনি সংকেত।
