‘আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান্স’ অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করাকে আমি কঠিন করে তুলবো’। এ বাক্যটি বিএনপি তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিয়াউর রহমানের।
তবে সেই বাক্যটি যে তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির জন্যই এত কঠিন হয়ে পড়বে তা হয়তো তিনি বুঝতে পারেননি। বর্তমান বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ও শান্তিতে নোবেল লরিয়েট ড. মুহম্মদ ইউনুস যে প্রয়াত প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে প্রয়োগ করবেন তা তো আর বুঝতে পারেননি।
বিএনপি এবছর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দেয়ার দাবিতে কঠোর বার্তা দিয়েছে। কিন্তু অপরদিকে ড. ইউনুসও কম যান না কঠোরতায় ও ষড়যন্ত্রে। তিনি জাপান সফরকালে অত্যন্ত স্পষ্ট করে ঘোষণা দিলেন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওই যে “প্রয়োজনীয় সংস্কার” এর মধ্যেই কিন্তু লুকিয়ে আছে ইউনুসের মনোভাব। সেটি বুঝতে সময় লাগবে বিএনপি’র।
এমনতরো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ভোটের সময় নিয়ে গত ২৮ মে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য ও জাপান সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড, ইউনুসের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আগামী দিনগুলিতে রাজনীতি সত্যিই ‘ ডিফিকাল্ট’ হয়ে উঠবে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গত ২৮মে বুধবার বিকেলে তিনি ২৫ মিনিট বক্তব্য দেন। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এরই ভেতরে জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্র্বতী সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।’ তারেক রহমানের বক্তব্যে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে বিএনপি বর্তমান ইউনুস সরকারকে আর বেশি সময় দিতে চাইছেনা।
কয়েক লাখ বিএনপি নেতাকর্মীদের এই সমাবেশে ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে’ বলে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তার প্রস্তুতি নিতে তিনি নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবেই। আবারও আমরা বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয়, তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে, জাতীয় নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়ে আপনাদের সেই প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করবেন।’
রাজনীতি সচেতন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ নামে এই কর্মসূচি করা হলেও কার্যত এর মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি দলটির অন্যতম উদ্দেশ্য। সমাবেশে প্রধান অতিথি তারেক রহমানসহ সব বক্তাই নির্বাচন প্রশ্নে সরকারের সমালোচনা করেন।
অপরদিকে তারুণ্যের সমাবেশের নামে বিএনপি’র এই বৃহৎ শো ডাউনে তারেক রহমানের ভাষণের কাছাকাছি সময়ে জাপান সফররত ড. ইউনুস টোকিওতে অনুষ্ঠানের ভাষণে নির্বাচন নিয়ে সরকারের আগের অবস্থানেই কঠিনভাবে অনড় থেকেছেন।
তিনি আবারো বলেছেন, ভোট আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে ‘ নিক্কেই ফোরাম: ৩০ তম ফিউচার অব এশিয়া সম্মেলন-২০২৫’ এ বক্তব্য দেওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন। চারদিনবাপী জাপান সফর করছেন ড. ইউনুস।
এসময় অনির্বাচিত-অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস বলেন, আমরা পুরনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাই না। তিনি তার ও তার সরকারের তিনটি করনীয় সম্পর্কে বলেন, সংস্কার আমাদের একটি এজেন্ডা। এরপর ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচার এবং তৃতীয় এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচন। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অনেকেই বলছেন কেন জুনের মধ্যে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যে কেন হবে না ? এটা নির্ভর করছে আমরা কতটুকু সংস্কার করতে পারছি তার ওপর। আমরা এভাবে দেশকে ছেড়ে দিতে পারি না। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
ড. ইউনূস আরো বলেন, আমরা এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রূপান্তর ঘটাবে।
তার মানে তিনি তার কথিত সংস্কার প্রশ্নে কোন আপোষ করতে রাজী নন। অপরদিকে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন- সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ অজুহাতে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা তারা কোনভাবেই সহ্য করবেন না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল মনে করছে, ভোটের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি নেতা তারেক রহমানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আগামী দিনগুলিতে রাজনীতিকে জটিল করে তুলতে পারে। সরকার এবং বিএনপি, দু’পক্ষের কথাতেই অবস্থানে অনড় থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে বিএনপি’র গত ২৮ মে’র মহাসমাবেশ এই দলটিকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে শক্তি জোগাবে বলে অনেকে মনে করছেন।
২০২৪ এর গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লিগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছিল কথিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলের কোটা বিরোধী কর্মসূচি তীব্রতা পেয়েছিল ১৭ জুলাই থেকে।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধিতা-সহ একাধিক ইস্যুতে শুরু হওয়া সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের পতনের এক দফায় পরিণত হয়। সেই আন্দোলনের ঢেউয়ে আওয়ামী লিগের পনেরো বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরিস্থিতির চাপে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় শেখ হাসিনাকে। সেই সাথে আওয়ামী লিগের অসংখ্য নেতা-কর্মীও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
বাংলাদেশে পরিচিত রাজনীতি বৃত্তের বাহির থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা আরো এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের এক কঠিন-ধূর্ত রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠেছেন নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুস।
২০২৪ এর আগষ্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেও ওপর অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের হুঁশিয়ারি, বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ধর্মীয় সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারসহ নানা বিষয়কে ঘিরে দেশে তৈরি অস্থিরতাকে জাতীয় সংকট উল্লেখ করে তখন ইউনুস সব দলকে ডেকে বৈঠক করেন।
অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলগকে বাদ দিয়েই এ বৈঠক হয়েছিল। তখন বৈঠককারি দলগুলো ইউনুস সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল। তবে গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে থাকা ড. ইউনুস কিন্তু সেই “ ভারত বিরোধীতা ” কেই বেছে নিয়েছেন তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে। যখনই গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশকে কথিত মানবিক করিডোর হিসেবে ব্যবহার ও চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল মার্কিন সংস্থার হাতে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে হুশিয়ারি উচ্চারন করেছেন তখনই রাজনীতির দাবার গুটিতে নতুন চাল দিলেন ধুরুন্ধর ইউনুস।
তিনি তার বশংবদ টোকাই রাজনৈতিক দল এনসিপি’র নেতাদের সাথে এক বৈঠকে তার পদত্যাগ করার একধরনের নাটক করলেন। তিনি পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় বিএনপি সহ সব দল নতুন করে তার প্রতি একধরনের আস্থাজ্ঞাপন করে। কিন্তু গত ২৮ মে তারেক রহমানের বক্তব্যে আবার ইউনুস সরকারের সঙ্গে বিএনপি’র বিরোধ প্রকাশ্য হয়ে যায়।
হাসিনা সরকারের পতনের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে বিএনপি এক অভিনব সমস্যার মুখে পড়েছে। তখনতো বিএনপি মনে করেছিল তাদের নেতা তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ফিরলেই দ্রুত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতার মসনদে বসে পড়বেন। কিন্তু তাদের সেই বহু কাঙ্খিত নির্বাচন না হওয়ায় বিএনপি’র ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
বিএনপি’র প্রথম সারির নেতারা ক্ষমতার স্বাদ পাননি বটে তবে দলটির জেলা, উপজেলা, নগর পর্যায়ের কিছু নেতা এরই মধ্যে প্রশাসন এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলির দখল নিয়ে বিনা নির্বাচনেই ক্ষমতার কিছু মধু পেয়েছেন। তার ওপর নানা ধরনের দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে তাদের দলের নেতাকর্মীরা বেশ করিৎকর্মা হয়ে পড়েছেন।
গত ২৮ মে রাজধানীতে তারুণ্যের সমাবেশের নামে বিএনপি’র ওই সমাবেশে অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দেখেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যেই সফলভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে।
সুতরাং অতীতে এই বাংলাদেশে রেকর্ড রয়েছে, তিন মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, ১০ মাস পার হয়ে গেলেও অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না। আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি সরকার দ্রুত দেখতে চাই।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পলাতক স্বৈরাচারের পরে যেই সরকারের কাছে দেশের মানুষ আশা করেছিল যে আইনের প্রতি সম্মান থাকবে, আমরা দেখেছি আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, স্বৈরাচারের সেই একই যে ঘটনা, সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
‘যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, যারা আদালতের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে, তাদের কাছ থেকে কতটুকু সংস্কার আশা করতে পারি’- এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে ব্যক্তিমানসিকতার সংস্কার অনেক বেশি জরুরি।’
অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণ এবং গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে দয়া করে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। যদি আপনাদের কেউ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকতে চায়, তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। নির্বাচন করুন। যদি ভবিষ্যতে নির্বাচনে জনগণের রায় পান, তাহলে আবার সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করুন।’
কে ভেবেছিল যে ‘আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান্স’ এর প্রবক্তা ও নিষ্ঠুর রাজনীতিবিদ জিয়াউর রহমানের এই পলিটিক্সের ‘ পলিট্রিক্স’ এ পড়ে যাবে তারই হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি ? আর সেই ‘ ট্রিক্স’ এ ভুগতে হবে তার প্রিয়তমা স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানকে ?
তবে এখন দেখার অপেক্ষা কোথায় যাচ্ছে ইউনুস বনাম বিএনপি’র এই বিরোধের রাজনীতি। কে জানতো বিএনপির জন্মদাতা সামরিক স্বৈরাচার প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ফাঁদে পড়বে বিএনপি। আর তার চরম মাশুল দেবে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান !
# নুরুল ইসলাম আনসারী,লেখক, প্রাবন্ধিক।