ঢাকা: ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর ভারত বরাবর জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী। পাকিস্তান ভারতের শত্রু। পাকিস্তানে ঢুকে শত্রু দেশের দফারফা করতে ছাড়েনা ভারত।
এদিকে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাঁধে হাত রেখে, আর পাকিস্তান বাংলাদেশের কাঁধে বন্দুক রেখে ভিন্ন খেলায় মেতে উঠেছে। এই দুই দেশ এক হয়েছে। যা কোনো ভালো ভবিষ্যতের সূচনা করছে না।
বাংলাদেশ ভুলেছে মুক্তিযুদ্ধের কথা, আর পাকিস্তান ছিলো এই সময়ের অপেক্ষায়।
পাকিস্তানের কুখ্যত জঙ্গিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে। লস্কর ই তৈবার প্রধান হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ জঙ্গিনেতা তো একের পর এক উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি জেলাগুলিতে।
সব মিলিয়ে ক্রমশ পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ভারতের সাহায্যেই জন্ম নেওয়া দেশ, বাংলাদেশ। যা খুব উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের সামরিক রথ খুব তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে।
গত ২৪ অক্টোবর থেকে পাঁচদিন বাংলাদেশ সফর করে গিয়েছেন পাকিস্তান সেনা বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামশাদ মির্জা।
পদমর্যাদায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের থেকে ঊর্ধ্বতন অফিসার। বাংলাদেশ সফরে তিনি মহম্মদ ইউনুস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ এবং নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মহম্মদ নাজমূল হাসান-সহ তিন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, রাওয়ালপিন্ডি থেকে বাংলাদেশ সেনার অফিসারেরা ঢাকা ফেরার পরদিন অর্থাৎ ৮ নভেম্বর, শনিবার পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ চারদিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন।
তিনিও প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সেনার তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এবং তিনি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মহড়া ও প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।
পরিবেশটা একবার ভাবুন কেমন হয়ে উঠছে?
পাকিস্তানের সঙ্গে যে কিছু একটা ভালোরকম ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে বাংলাদেশ, তার আরও একটি উদাহরণ নৌসেনা প্রধানের বাংলাদেশ আসা।
ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক সামরিক চুক্তি হয়ে গিয়েছে।
এখন জঙ্গীদের অবাধ বিচরণ হয়েছে বাংলাদেশে। এবার আসছেন পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরফ।
আগামী ৮ নভেম্বর ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন পাকিস্তানের নৌসেনা প্রধান।
যে পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় লক্ষ লক্ষ গণহত্যা, মা বোনদের ধর্ষণ করেছিল, সেই পাকিস্তানকেই এখন তৈলমর্দন করছে বাংলাদেশ। সব হচ্ছে ইউনূসের কলকাঠিতে। ধিক্কার!
বাংলাদেশের পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইকবাল হুসেন খান স্পষ্টই বলেছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে ভবিষ্যতে।
ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘গত ১০-১২ বছর ধরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ভাল ছিল না। কিন্তু এবার সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। দুদেশের সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে। এখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে পাকিস্তান।’
