ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই। সেই হিসেবে দলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ৬৩ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
এর মধ্যে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার প্রত্যাশিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ-বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসন রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং দলীয় জোট গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
টেলিভিশন আলোচনায় তিনি দলের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি, মনোনয়ন বণ্টন এবং নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে সক্রিয় আলোচনায় আছে। বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে যারা নানা প্রতিকূল অবস্থায়ও দলের পাশে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
নতুন কিছু দলের সঙ্গেও সমঝোতার আলোচনা চলছে। জোটের স্বার্থে কিছু আসনে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির এখনো ৬৩টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা বাকি আছে। এই আসনগুলোর বেশিরভাগই জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আমরা এখন এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যারা বাস্তবিকভাবে জয়ের সম্ভাবনা রাখেন।
নিজের কথা বলেন। তাঁর নিজের মনোনয়নও আপাতত স্থগিত আছে, এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।
এদিকে, টিকটকার হিরো আলম রুমিন ফারহানার বিষয়ে বলেন।
৩ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর ফেসবুকে এক পোস্টে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম লিখেছেন,
‘বিএনপির দুঃসময়ের সাথী, ত্যাগী নেত্রী, স্বৈরাচারের জম, প্রতিবাদী কণ্ঠ রুমিন ফারহানা আপা। আমার ওপর বারবার হামলা হলে বজ্রকণ্ঠে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন তিনি।
বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সবার চেয়ে বহু গুণ এগিয়েছিলেন তিনি। সেই রুমিন ফারহানা আপাকে নমিনেশন না দিয়ে তার প্রতি বিএনপি অনেক বড় অবিচার করেছে। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
হিরো আলম লিখেন, ‘সেই সঙ্গে আগামী দিনের দেশ গড়ার নায়ক তারেক রহমান ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন। স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গড়তে রুমিন ফারহানা আপার মতো মানুষের আমাদের ভীষণ দরকার।’
