ঢাকা: যে হাতে কলম থাকার কথা সে হাতে লাঠি কেন?

জনগণের প্রশ্ন, যদি রাষ্ট্র ছিন্নমূল মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারে, তাহলে সমাধান কী?

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঢাবির প্রোক্টরিয়াল টিম ও ডাকসুর সর্বমিত্র চাকমা বার্ন ইউনিটের গেটের সামনে এক ছিন্নমূল বৃদ্ধকে উচ্ছেদ করছেন।

শুধু তাই নয়, সর্বমিত্র চাকমা বৃদ্ধকে লাথিও মেরেছেন। হাতে লাঠি।

যারা দেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি, তাঁরা দুঃখিত। বলছেন, ‘এটা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়? অসহায় বৃদ্ধ লোকটি বাংলাদেশের নাগরিক, তাঁর গায়ে লাথি মেরে ও হাত তুলে চরমভাবে বৃদ্ধ লোকটির নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটছে তা রীতিমত রাষ্ট্র বিরোধী, সাধারণ ছাত্র ও জনগণের জন‍্য ভীতিকর। এজন‍্য ছাত্রশিবির পুরোটাই দায়ী, এটা কি এখন জঙ্গীলয়’?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ফুটপাত দোকান উচ্ছেদ অভিযানের সময় এক বৃদ্ধকে লাঠি হাতে শাসানো এবং লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমার বিরুদ্ধে।

ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩ নভেম্বর) গভীর রাতে শহীদুল্লাহ হলের সামনে।

এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বারবার সরানোর পরও ওই বৃদ্ধ ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন না। তার সঙ্গে থাকা আরেক বৃদ্ধের কাছ থেকে আগেও গাঁজা পাওয়া গেছে’, বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই লোকগুলোকে তোলা খুব কঠিন। ভয় না দেখালে ওঠে না। আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই, শুধু চাই ক্যাম্পাস হোক ভবঘুরে ও মাদকমুক্ত।’

সর্বমিত্র চাকমা লেখেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে রাতে দায়িত্ব পালন আমার কাজ নয়, তবে নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য আমি কাজ করেছি। এখন থেকে মাঠে থাকব না।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *