ঢাকা: পাকিস্তান বাংলাদেশের এখন গলায় গলায় সদ্ভাব চলছে। ইউনূসের চালে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ ভুলিয়ে পাকিস্তানের গলায় মিলতে বলা হচ্ছে।
দুই দেশের আসা যাওয়া, খানাপিনা ভালো চলছে। পাকিস্তান এই সুযোগেই ছিলো।
এবার পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
এরা মুক্তিযুদ্ধ ভুলে এখন পাকিস্তানের হয়ে লড়াই করতে নেমেছে।
জানা গেলো, এরা প্রায় দেড় বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিহতদের একজন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রতন ঢালী (২৯) এবং অন্যজনের নাম ফয়সাল হোসেন (২২), তবে তার ঠিকানা এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (সিটিটিআই) ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার রওশন সাদিয়া আফরোজ।
তিনি বলেছেন, “আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি রতন ঢালী টিটিপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানে যুদ্ধ করেছিলেন।”
পাকিস্তান যে ধর্ষক, খুনীর ভূমিকায় ছিলো, বা আছে এই কথা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ভুলেছে। ভুলিয়ে দেবার জন্যেই তো ইউনূস জঙ্গী বাহিনীর আগমন। নিজের দেশের প্রতি প্রেম নেই এই প্রজন্মের, ওরা বাংলাদেশ বোঝে না, ওরা এখন পাকিস্তান বোঝে। জন্ম হচ্ছে এক একটা রাজাকারের।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রতন ও ফয়সাল নাকি ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে তারা অবৈধভাবে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছে টিটিপিতে যোগ দিয়ে দেন।
খুব ধনী পরিবারের নয় এই দুইজন। কোনোরকম সংসার চলছিলো।
রতন ঢালী ঢাকার খিলগাঁওয়ের একটি মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতেন। তার বাবা আনোয়ার ঢালী একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক এবং মা সেলিনা বেগম গৃহিণী।
পরিবারের সঙ্গে শেষবার রতন যোগাযোগ করেন ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল রোজার ঈদে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে আছেন এবং শিগগিরই দুবাই যাচ্ছেন। এরপর থেকেই তার আর কোনো খোঁজ ছিলো না।
রতনের বাবা আনোয়ার ঢালী বলেন, “রতন গ্রামের বাড়ি থেকে সব কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিল। বলেছিল, দুবাই যেতে এগুলো দরকার হবে। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ পাইনি।”
সিটিটিসি ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে টিটিপির এক অভিযানে ৫৪ যোদ্ধা নিহত হন। এরপর নিহতদের পরিচয় যাচাই করতে গিয়ে রতন ঢালী ও ফয়সালের নাম শনাক্ত করা হয়। যারা বাংলাদেশি। যুদ্ধ করেছে পাকিস্তানে।
নিহতদের মধ্যে সাভারের আরেকজন যুবক আহমেদ জুবায়েরও ছিলেন বলে জানতে পারা গেছে।
আর আরো ভয়ঙ্কর তথ্য হলো,গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, রতন ও ফয়সাল টিটিপিতে নিজেরা তো যোগ দিয়েছেনই, পাশাপাশি বাংলাদেশের যুবকদের বিদেশে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হওয়ার প্ররোচনাও দিতেন। যাতে তারাও জঙ্গী হয়।
