ঢাকা: দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিস্তারিত তদন্ত হবে এবং এই মুহূর্তে কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।”
ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জঙ্গীবাদ খতম করে দেয়া হবে, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশের প্রশাসন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একটি আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরক ছিল। সেই গাড়িতে ছিল ডাঃ উমর মহম্মদ।
তার সঙ্গে ফরিদাবাদের টেরর মডিউলের যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সেই আই২০ গাড়িতে থেকে পাওয়া দেহাংশের ডিএনএ টেস্ট করছে।
পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে সেই গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তি ডাঃ ওমার মহম্মদ কি না।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকা বসিরহাট জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান ও নাকা চেকিং।
১০ নভেম্বর রাত থেকে কলকাতায় জায়গায় জায়গায় শুরু হয়ে গেছে নাকা চেকিং।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সীমান্তেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং নেপাল সীমান্তেও জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
১০ নভেম্বর রাত থেকেই সীমান্তে শুরু হয়ে গেছে জোরদার টহল।
পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এই বিস্ফোরণ যে নাশকতার জেরেই ঘটেছে, তা স্পষ্ট হয়ে যায় তদন্ত এগোতেই।
এদিকে, দিল্লিতে ভয়াবহ জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং নিহতদের স্মরণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে শেখ হাসিনা এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আধুনিক বিশ্বে উগ্র-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই। এই উগ্রবাদী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলে আঘাত করে।
এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে খোলনলচে বদলে ফেলেছে। পাকিস্তানভিত্তিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে ভারতে হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।
এই সন্ত্রাসীদের রুখে দিয়ে মানুষে মানুষে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে।
