ঢাকা: আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শুক্রবার জোর দিয়ে বলেছেন যে রাজ্যে বিদেশীদের সনাক্তকরণ দ্রুতগতিতে করা হবে এবং আইন অনুসারে ঘোষিত বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশীদের গ্রেপ্তারি চলমান। দেখা যাচ্ছে, তারা অবৈধভাবে ভিসা, পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে গিয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছে।
ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যাদের বিদেশী ঘোষণা করা হয়েছে তাদের জন্য গৌহাটি হাইকোর্টে আপিল করার পথ খোলা রয়েছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন।
“যারা বলেছেন যে তাদের সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে আপিল বিচারাধীন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি, তবে যারা উচ্চ বিচার বিভাগে আপিল করেননি তাদের প্রত্যাহার করা হবে,” মুখ্যমন্ত্রী বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ সুপারদের সাম্প্রতিক বৈঠকে রাজ্যে বিদেশীদের সনাক্তকরণ দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“রাজ্যে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) আপডেটের কারণে বিদেশীদের সনাক্তকরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল তবে এখন আমরা প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,”।
উল্লেখযোগ্য যে, বৃহস্পতিবার শিলচর ও মেঘালয় হয়ে একসঙ্গে আসা ৩৫ জনকে ধরা হয় এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে পুশ ব্যাক করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিদেশী নাগরিক ঘোষিত কোনও ব্যক্তি যদি আদালতে চ্যালেঞ্জ না করেন, তাহলে তাদের “আসামে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে”।
“এটি সম্পূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে এবং আমরা আইন অনুসারে কাজ করছি। বিচার বিভাগ যদি স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকে, আমরা তা সম্মান করি কিন্তু যদি কোনও আদেশ না থাকে, তাহলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে”।
এর আগে মুহাম্মদ ইউনূসকে কঠিন বার্তা দিয়েছিলেন শর্মা।
পশ্চিমবঙ্গের মোরগ-কণ্ঠের টুঁটি চেপে ধরা নিয়ে যেমন বাংলাদেশ প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে চলেছে, তার মোক্ষম জবাব দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত এক বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশ যেন মনে রাখে ভারতের একটি চিকেন্স নেক থাকলে, তাদের দেশে এমন দুটি কৌশলগত দুর্বল করিডর আছে। যা ভারতের একটির চেয়েও বেশি দুর্বল।
তাঁর কথায় যারা ভারতের মোরগের গলার মতো অত্যন্ত সরু করিডর নিয়ে হুমকি দিতে অভ্যস্ত, সেই পড়শি দেশ যেন মাথায় রাখে যে, এর থেকেও দুর্বল দু-দুটো সরু করিডর তাদের দেশেও আছে। যা তাদের নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর হতে পারে।