ঢাকা: দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিদেশীদের কাছে চলে যাচ্ছে পোর্ট, সীমান্ত আর দ্বীপ। দখলদার ইউনুসের নেতৃত্বে নিভে যাচ্ছে সার্বভৌমত্বের প্রদীপ।
সজীব ওয়াজেদ জয় ১৩ নভেম্বর লকডাউন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক তার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবেন।
বাংলাদেশ কোন দেশবিরোধী শক্তির হাতে থাকতে পারেনা। ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি আমাদের সবার’।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে দেশের জনগণকে।
খেটে খাওয়া শ্রমিক, দিনমজুর, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিটি মানুষ এখন চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, আয় কমছে। এই খেটে খাওয়া মানুষদের মুখে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই হাসি ফুটিয়েছিলেন।
দিয়েছিলেন নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। কিন্তু দখলদার ইউনুসের কালো থাবায় তাদের জন্য পেট ভরে খাওয়ার খাওয়ার চিন্তাটাই বিলাসিতার পর্যায়ে চলে গেছে।
১৩ই নভেম্বর, আমাদের একতাবদ্ধ প্রতিবাদ হবে সেই দিনের যে দিন দেশের প্রতি অন্যায়, অবিচার এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়াবো।
লকডাউন মানে শুধু থেমে যাওয়া নয়, এক হয়ে উচ্চারণ করা আমাদের অধিকারের কথা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, দখলদার ইউনুসের শোষণ, অন্ধকারাচ্ছন্ন বিচার ব্যবস্থা, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করুন।
এখন সময় আমাদের অধিকারের জন্য দাঁড়ানোর, গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের এক হওয়ার।
উল্লেখযোগ্য যে, আগামিকাল ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার মামলায় সাজা ঘোষণার দিন তারিখ জানাবে। ট্রাইবুনালের বিচারপতি গোলাম মোর্তূজা মজুমদার গত মাসে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ধারণা, ১৩ তারিখের পর যে কোনওদিন তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মামলা শুনানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে।
এর আগে রাজাকার চিফ প্রসিকিউটার তাজুল ইসলাম আদালতে বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনার তাই ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার।
নেত্রীর বিরুদ্ধে , দেশের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন পালন করার আবেদন জানিয়েছে আওয়ামী লিগ।
শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লিগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার, মহম্মদ ইউনুসের পদত্যাগ সহ একাধিক দাবিতে ১৩ নভেম্বর অফিস-আদালত হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রেখে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
