ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২২ জন বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠিত হবে আজ বুধবার তথা ১২ নভেম্বর।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
২ বছর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে গতবছর নিয়োগ দেওয়া ২৩ জন অস্থায়ী বিচারপতি থেকে ২২ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে।
তবে একজন বাদ যাওয়া ব্যক্তিটি দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
২ বছর অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের একটা বিধান ছিল। এতো কম সময়ে স্থায়ী বিচারপতি এবারই প্রথম। কিন্তু প্রতিবাদ করলেই কারাগার। অন্তর্বর্তী সরকার তো আছেই।
মাননীয় বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
লক্ষ্যনীয় যে, তিনিই একমাত্র সংখ্যালঘু। অনেকেই বলছেন, তাঁর প্রতি এই অবিচার শুধু ব্যক্তিগত নয় এটি সংবিধানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিপন্থী।
দেবাশীষ বাবুর অযোগ্যতার কোন দৃশ্যমান কারণ নেই। তিনি একজন বিদেশে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা আইনে পন্ডিত ব্যক্তি, ভদ্র, মার্জিত এবং শিষ্টাচার জানা ব্যক্তি।
উল্লেখযোগ্য যে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আজ আহমেদ দুপুর দেড়টায় জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পড়াবেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি ৪৫ বছর বয়স পূর্ণ করলে তাকে স্থায়ী বিচারপতি করা হবে।
২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর সরকার হাইকোর্টের ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। এবার তাদের মধ্যে ২২ জনকে স্থায়ী করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনও হিন্দু নেই। এটি খুব দৃষ্টিকটু মনে হচ্ছে দেশে।
স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান খালিদী, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথীকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন এবং শিকদার মাহমুদুর রাজী।
