ঢাকা: আসলে গোটা জুলাই আন্দোলনটাই তো মেটিকুলাস ডিজাইন! আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ- এদের মৃত্যু তো এমনি এমনি হয়নি। সব ঘটানো মৃত্যু। আন্দোলনকে তরতাজা করার চরম নাটক।
কীভাবে বলবেন, মুগ্ধ নিরপেক্ষভাবে জুলাইয়ে আন্দোলন করেছিলো? এরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বদনাম করার জন্য নিরপেক্ষতার রুপ ধারণ করে একটা সন্ত্রাসী আন্দোলন করে।
দেশবাসী অনেকেই এখনো সন্দেহের মধ্যেই আছে যে মুগ্ধ আর স্নিগ্ধ একজনই,পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র একটা বানোয়াট নাটক করেছিলো মুগ্ধের মৃত্যুর।
স্নিগ্ধ একটা টিভি সাক্ষাতে বলেছিলো মুগ্ধের কপালে গুলি লাগে,এবং মুগ্ধের লাশের পাশে সে ছিলো। তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে তখন কি কেউ একটা ছবি তোলেনি?
আসলে দেশবাসীকে বিশাল ধন্দের মধ্যে রেখে বাংলাদেশকে তছনছ করা হয়েছে।
এদিকে, স্নিগ্ধ যোগ দিয়েছে বিএনপিতে। তবুও অন্তরে তো শেখ হাসিনা। কারণ ভুলে শুদ্ধে মিলিয়ে হাসিনা যা অবদান রেখেছেন দেশটায়, তা তো ভুলে যাবার নয়।
তাই খালেদা জিয়ার নাম করতে গিয়ে শেখ হাসিনার নাম বেরিয়ে যায় তাদের মুখ দিয়ে।
স্নিগ্ধ বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাবা আপসহীন দেশনেত্রী শেখ…. খালেদা জিয়ার আদর্শে বড় করেছেন।
আবার নিজেকে ঢাকার জন্য এর ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত শেখ হাসিনার নাম মাথায় ঘুরবে বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে স্নিগ্ধ লিখেছেন, অন্তরে ঘৃণা নিয়ে যে নামটির জন্ম হয়েছে, সেটি হলো শেখ হাসিনার নাম। এটা শুধু আমার নয় বরং বাংলাদেশের সকল সাধারণ মানুষের।
বিগত ১৬ বছরে অত্যাচারিত হয়েছে এমন সকল পরিবারের। যতদিন পর্যন্ত এই খুনি হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশের মাটিতে ফাঁসির দড়িতে না ঝোলানো হচ্ছে, ততদিন সকাল-বিকেল, স্বজ্ঞানে কিংবা ঘুমের স্বপ্নেও এই হাসিনার নাম মাথায় ঘুরবে। যতবার এই নাম মুখে আসে, মনে রাখবেন—তা কেবল ঘৃণা থেকেই আসে।
তিনি আরও লিখেছেন, এই খুনি শেখ হাসিনা যতদিন ফাঁসির দড়িতে না ঝুলছে, ততদিন শান্তি নেই। শেখ শেখ মুখ দিয়ে বের হবেই, যতদিন না পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলানো হচ্ছে এই স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে।
সোমবার নাটোরে বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় স্নিগ্ধ বলেন, ‘আমার বাবা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী, তিনি ছোটবেলা থেকেই আমাদের আপসহীন দেশনেত্রী শেখ… আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আদর্শে বড় করেছেন।’
এরপর সামাজিক মাধ্যমে স্নিগ্ধের এই বক্তব্যের অংশটুকু বেশ ভাইরাল হয়। অনেকেই এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন।
