ঢাকা: নবম শ্রেণির এক কিশোর, যার শখ দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর নিদর্শন সংগ্রহ করা।

দেশের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রতি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার গভীর টান থেকেই ১৩ নভেম্বর সে গিয়েছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে—বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সেই স্থানে।

সেখান থেকে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে একটি ইট সংগ্রহ করেছিল সে, নিছক ভালোবাসা থেকে।

কিন্তু হায়! নিষ্পাপ কিশোরকেও রেহাই দেয়নি হায়েনার দল। ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর অপরাধেই সে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাকে আটক করা হয়।

দীর্ঘ ৬ ঘন্টা আটকে রাখার পর আটক হওয়া ১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরের মুচলেকা নিয়ে তারপর ছেড়েছে পুলিশ।

ধানমন্ডি থানা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মায়ের মুচলেকায় ছাড়া পেয়েছে কিশোর নিজন।

তার অপরাধ ছিলো সে বঙ্গবন্ধুকে কেন আদর্শ মানে? কেন ভালোবাসে?

কিশোর বলে, ধানমণ্ডি ৩২ থেকে সংগ্রহ করা ইটগুলো আমার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। থানায় পুলিশ বলেছে, আর যেন ধানমণ্ডি ৩২-এর আশপাশে না দেখা যায় আমাকে।

আটকের এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন লেখক তসলিমা নাসরিন।

তিনি ফেসবুকে কিশোরকে ব্যঙ্গ করেননি, অন্তর্বর্তী সরকার তথা জঙ্গীদের ব্যঙ্গ করে লিখেছেন:

‘সকাল দশটায় ধানমণ্ডির ভাঙা বাড়িটির আঙিনা থেকে
গ্রেফতার করা হলো ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসীকে। নাম নির্জন আমিন, বয়স চৌদ্দ।

সন্ত্রাসীর ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটো মারণাস্ত্র, ৩২ নম্বর বাড়ির ভাঙা একটি ইট, আর একটি মুক্তিযুদ্ধের বই।
এমন মারাত্মক মারণাস্ত্র বিশ্ব আর চাক্ষুষ করেনি আগে।

এই মারণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলে ধ্বংস হবে বাদশাহ’র প্রাসাদ, ধ্বংস হয়ে যাবে দরবারখানা, উর্ধ্বশ্বাসে পালাবে পারিষদবর্গ ।

দেশদ্রোহীরা ত্রস্ত হাতে গর্ত খুঁড়ে
কেঁচোর মতো ঢুকে যাবে এক একটি গর্তে।

এই মারণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে এক-দেশ-অন্ধকার। দাগী সন্ত্রাসীটির নাম নির্জন আমিন, বয়স চৌদ্দ

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *