রাজশাহী: এই বাংলাদেশে বিচারকের ছেলে খুন হয়ে যাচ্ছে, আবার বিচারকের সামনে সাংবাদিক হেনস্থার শিকার হচ্ছে, পুলিশের ঘরে চুরি হচ্ছে, ডাক্তার নিজেই খুনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে! আসলে যে কী হচ্ছে দেশটায়!? জনগণের নিরাপত্তা আর কোথায়? যে যার মতো আছে।

রাজশাহীতে বাড়ি ঢুকে বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন লিমন মিয়া (৩৫), তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।

তিনি বিএনপি নেতার সুপুত্র। উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য এইচএম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে তিনি। শহীদ মিয়া ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা গেলো, লিমন ‘জিয়া সাইবার সোর্স’-এর জেলা কমিটিতে যুক্ত ছিলেন।

আরো যা জানা গেলো, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। প্রায় সাত-আট বছর চাকরি করেছেন। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী ছাড়েন। এরপর ফুলছড়ির গজারিয়া হাট ও বালাসী ঘাট এলাকায় শেয়ার ও বালুর ব্যবসাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যে যুক্ত ছিলেন।

সেনাবাহিনীতে চাকরি করে কবে খুন খারাবি শিখে গেলেন? নাকি রক্ত কথা বলে?

বিগত দেড় বছরে কচু কাটার মতো মানুষ কাটা হচ্ছে। তার কোনো কারণ লাগে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর ডাবতলা এলাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে ঢুকে লিমন তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

ঘটনার সময় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার (৪৪) গুরুতর আহত হন। পুলিশ দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *