রাজশাহী: জামায়াত নাকি নারীদের সম্মান করে? আগেও তো তার কত নমুনা দেখা গেছে, ৭১ এর চাইতে বড় প্রমাণ আর কী আছে? এখনো সেই এক চরিত্রের রয়ে গেছে এই রাজাকার দল।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী থানা এলাকায় বিএনপির এক নেত্রী এবং তাঁর বোনকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা এবং পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে।
পৈশাচিক ঘটনাটি যে জামায়াত কর্মী ঘটিয়েছেন তাঁর নাম নুরুল ইসলাম।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও শারীরিক নিপীড়নের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে রাজশাহীর জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সচেতন নারী সমাজের আয়োজনে এই মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা জানান, গত ১২ নভেম্বর পবা হরিয়ান সুগার মিল এলাকায় বিএনপি নেত্রী মোছা নিলুফা ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালানো এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময়, জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মো. নুরুল ইসলাম তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ও পায়ের জুতা দিয়ে মারপিট করেন।
বোন নূর বানুকেও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন জামায়াত কর্মী। তারপর পায়ের স্যান্ডেল খুলে বিএনপি নেত্রী ও তাঁর বোনকে মাথায় ও মুখে আঘাত করেন।
বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী বলে নির্বাচিত হলে নারীদের সম্মান করবে, কিন্তু নির্বাচনের আগেই নারীদের প্রতি লাঞ্ছনার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
৫ আগস্টের পর জামায়াত মনে করছে তারা ক্ষমতায় এসেছে এবং দেশব্যাপী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কোন মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে খেলা চলতে দেওয়া হবে না।
নারী নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
