ঢাকা: যমুনা কি তার হিসেব মেলাতে পারছে না?
যমুনা অয়েল কোম্পানি চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৮ হাজার ৬৩ লিটার ডিজেল কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিয়ে যায়।
তবে পথেই কমে যায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৮ লিটার তেল। তবে এর হিসাব এখন পর্যন্ত মেলাতে পারেনি যমুনা।
এই নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ২ লাখ ৬২ হাজার ৮০৪ লিটার ডিজেল প্যাকিং হিসেবে পাইপলাইনে রয়ে গেছে বলে দায় স্বীকার করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। তবে বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ৫৬৪ লিটার ডিজেলের হিসাব মেলাতে পারেনি যমুনা অয়েল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিসির এক কর্মকর্তা দেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘যমুনা অয়েলের নিজস্ব কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা ছয় হাজার লিটারের মতো তেল কম পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। তবে মন্ত্রণালয় ও বিপিসির কমিটি এখনো কাজ করছে।
মোদ্দা কথা হলো, একটি অভিযোগ বিষয়ে বেশি কমিটি হওয়ায় বিপত্তি তৈরি হয়েছে। দুই কমিটির তদন্তের ফলাফল ভিন্ন হলে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘তেল কোথাও যায়নি, চুরিও হয়নি। পাইপলাইনে যাওয়া তেল রিসিভিং টার্মিনালের ট্যাংকে আছে। ট্যাংকটি সিলগালা করা রয়েছে। ক্যালিব্রেশন রিপোর্টে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মূলত ক্যালিব্রেশন রিপোর্টের মাধ্যমে পরবর্তীসময়ে তেল গায়েব করার একটি দূরভিসন্ধিও হতে পারে।’
