ঢাকা: আসলে এই দেড় বছরে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। ইউনূস সরকারের চার চলন দেশবাসী আর নিতে পারছে না। পেটে যদি খাওয়া না থাকে, মানুষ ক্ষিপ্ত হবেই।
সবদিক দিয়ে দেশকে জ্বালিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একটা দিকেও শান্তি নেই।
ফলে জনগণ বাধ্য হয়েছে রাস্তায় নামতে। প্রকাশ্যে বলছে, এই জাতিকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র আওয়ামী লীগ।
হাজারে হাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার চলছে, ইউনুস সরকার এত বাধা সৃষ্টি করেও থামাতে পারেনি আওয়ামীলীগের কর্মসূচি।
এর আগে ১৩ ই নভেম্বর আওয়ামীলীগের ডাকা লকডাউনে বাংলাদেশের মানুষ সাড়া দিয়েছে। ঢাকা লকডাউনের ডাক ছিলো, অথচ সারা দেশ লকডাউন পালন করে।
ফলে ঘুম উড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনূসের। ১৩ তারিখ লকডাউনে সাড়া দেওয়াটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা ট্রেলার ছিল মাত্র।
লকডাউন কর্মসূচি সফল হওয়ার পর ১৬ ও ১৭ ই নভেম্বর আওয়ামীলীগের তরফ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে শাটডাউন কর্মসূচির।
১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামীলীগ জনগণের প্রতি আবেদন জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ বলছে, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন, কমপ্লিট শাটডাউন সফল করুন।
দেখা গেলো, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন।
শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডাসার উপজেলার গোপালপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই অবরোধ করেন তাঁরা।
এদিকে, শাটডাউন কর্মসূচির সমর্থনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সড়কে গাছ ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
