ঢাকা: মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শুধু তিনি একা নন তাঁর ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ঢাকার একটি আদালত মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া এই পরোয়ানা জারি করেন।

এমন ঘটনায় হতবাক মেহজাবিনের ভক্ত, দর্শকরা।

হতবাক খোদ মেহজাবীনও। তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এই খবরকে একদম নাকচ করেছেন মেহজাবীন। মেহজাবীন তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে এ বিষয়ে খোলাসা করেছেন।

তিনি লিখেছেন, আমি মেহজাবীন চৌধুরী। আজ একটি ভূয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। আমি মনে করি, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছাড়া কিছু নয়।

এই ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যে বা যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না।

যারা আমাকে চেনেন,  তারা জানেন আমি কেবল আমার অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্বে সর্বদা নিবেদিত। আমি এমন কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেই,  যেখানে আইনি জটিলতায় জড়ানোর প্রশ্ন আসে।

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দেশের আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক দায়িত্বে বিশ্বাসী।

একজন শিল্পী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সবসময় দেশের আইন, নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেছি। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি, যার সাক্ষী আমার দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা”।

এদিকে, বলা হচ্ছে, পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার করার প্রলোভন দেখিয়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মেহজাবীন চৌধুরী এবং আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

১৬ নভেম্বর আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে হাজিরার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে আসামিরা আদালতে না হাজির হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ১৮ ডিসেম্বর।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে নাকি পুরনো পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে মেহজাবীন তাঁকে নতুন পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার রাখার কথা বলেন।

আর এই প্রলোভনে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় মোট ২৭ লাখ টাকা নেন মেহজাবীন ও তার ভাই আলিসান। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্যবসা শুরুর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী টাকা চাইলে নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন তাঁরা।

পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গেলে মেহজাবীন ও আলিসান তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। সেখানে গেলে আসামিরা ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি বাদীকে গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন— “এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না, বাসার সামনে দেখলে মেরে ফেলব।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *