ঢাকা: ইউনূসের বাংলাদেশে হাসিনার মামলায় বড় রায় হলো ১৭ নভেম্বর। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বর্তমানে ভারতের আশ্রয়ে আছেন হাসিনা। এদিকে, ফাঁসির সাজা দিয়ে হাসিনার প্রত্যর্পণ চায় বাংলাদেশ। মৃত্যুদণ্ডের পরই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যর্পণের আর্জি বাংলাদেশের। ভারতের কাছে ২ জনকে হস্তান্তরের আর্জি জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সয়াল এক্স-এ পোস্ট করেছেন।

সেই বিবৃতিতে লেখা, ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থে দায়বদ্ধ ভারত। ভারত চায়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, শান্তি, স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। বাংলাদেশে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা ভারতের’।

অর্থাৎ ঘুরিয়ে নিজেদের অবস্থান কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে আশ্রয় দেওয়া অবন্ধুসুলভ আচরণ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফিরিয়ে না দিলে ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল। ২ দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে হস্তান্তর করা উচিত’।

এদিকে, ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা।

মুজিব-কন্যা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না মেনে রিগিং করে ট্রাইবুনালের রায়। পক্ষপাতমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশে রায় ঘোষণা। মৌলবাদীদের ইচ্ছেতেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা।

ইউনূস-শাসনে অরাজকতার শিকার লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক ক্রাইম ট্রাইবুনালের মাধ্যমে আওয়ামিকে বলির পাঁঠা করার চেষ্টা। ইউনূস সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা’।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *