ঢাকা: ৫ আগস্টের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বর্বরতা, বাড়বাড়ন্ত দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়—৫৪ বছর আগের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার নেশায় রাজাকাররা সুযোগ পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির বদলা নিতে তারা একটি শতভাগ জামাতি-প্রভাবিত ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল তৈরি করেছে; যেখানে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষেই স্বাধীনতাবিরোধী মতাদর্শের আইনজীবীদের বসানো হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় দেশি-বিদেশি অসংখ্য আইনজীবী তাঁর পক্ষে দাঁড়াতে চাইলেও, তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

এই যে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি, সেকথা বিশ্বের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না পাকিস্তানিদের।

একতরফা, আইনি সুরক্ষা-বিহীন, অবৈধভাবে পরিচালিত এই “বিচার” প্রহসনের বাইরে কিছুই নয়। রায় আগেই লিখে রাখা—এমনি সব তাড়াহুড়ো ও স্ক্রিপ্টেড নাটকের আয়োজন চলছে। দেশবাসী এই রায়কে প্রত্যাখান করেছে।

৫ আগস্টের পর যে ব্যক্তিদের বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে, তারাও জামাতের মনোনীত।

নাহলে দেখুন- শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়া কতটা সঠিক হয়েছে রাষ্ট্রনিযুক্ত তাঁর আইনজীবীর হাসি, আর ‘কষ্ট পাওয়ার নাটক’ দেখে নিঃসন্দেহে সবার কাছে এটা সাজানো এবং প্রহসনের বিচার
পরিষ্কার উদাহরণ হয় রইলো।

কোথাও দেখেছেন এইভাবে ক্লায়েন্ট হারলে আইনজীবী এইভাবে হাসে?

‘দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা হাসে যবে সমান আঘাতে, সর্ব নিকৃষ্ট সে বিচার’। যে দণ্ডদাতা বা শাসক দণ্ডপ্রাপ্তের প্রতি কোনো প্রকার সহমর্মিতা রাখে না, বরং তাকে শাস্তি দিয়ে আনন্দ পায়, সেই বিচার সবচেয়ে নিকৃষ্ট।

রায় প্রকাশের পরে হাসিনার আইনজীবীর হাসি দেখে মনে হচ্ছে বিচারের নামে একটা প্রহসন সম্পন্ন হলো।

রায় নিজের বিপক্ষে গেলেও আসামীপক্ষের আইনজীবীর মুখে তুমুল হাসি, তাঁর পরাজয়ের কোনো দৃশ্য নেই।

এই দৃশ্যটাই প্রমাণ করে, আদালতের কাঠগড়ায় বিচার নয়, রাজনীতির খেলা চলছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণদণ্ডের রায়ে ‘কষ্ট’ পাচ্ছেন বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন।

রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে এসে হাসিমুখে তিনি বলেন, “আমি কষ্ট পাচ্ছি। আমার এইজন্যই কষ্ট, এই জন্যই কষ্ট পাচ্ছি- আমার আসামির সাজা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। আমাকে কষ্ট দিবে না? এটিই স্বাভাবিক। আমি কষ্ট পাচ্ছি। এটাই আমার বক্তব্য।”

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করে।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারক হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *