ময়মনসিংহ: জুলাই কোন বিপ্লব নয়, জুলাই একটা ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্রের বলি সাধারণ জনগণ।

জুলাই ছাত্র আন্দোলন ছিল? তাই যদি হয় তাহলে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন? যে তাঁকে জুলাই শহিদ দেখানো হলো? অথচ তিনি দিব্যি বেঁচে আছেন! এভাবেই গুজব ছড়িয়ে সাজানো-গোছানো দেশটাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের ঘটনা এটি। ফুলবাড়িয়ায় ধামর বেলতলি বাজারের মুদি দোকানদার সোলাইমান হোসেন সেলিম; সরকারি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনের সময় তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন, এমন অভিযোগে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সেলিমের বড় ভাই গোলাম মোস্তুফা ওরফে মস্তু ডাকাতের করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গত বছরের ৩ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন সেলিম।

তাঁর নিজের বড় ভাই এই মামলা করেন! এটাই সত্য।

বলা হচ্ছে, এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে সম্পত্তি আত্মসাৎ এর জন্য। ভুক্তভোগী সোলাইমান হোসেন সেলিম বলেন, “মস্তু এলাকার চিহ্নিত ডাকাত। সে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে এর মধ্যে নিঃস্ব হয়েছে। শুনেছি ঢাকা শহরে বাস চালায়।

“প্রায় ১৫ বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না। কিন্তু বাড়িতে না আসলেও বাকি দুই ভাইকে দিয়ে আমার সম্পত্তি গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্তু।”

বলেন, “আমাকে মামলায় তারা মৃত দেখিয়েছে, সুযোগ পেলেই মেরে ফেলত। বিষয়টি বুঝতে পেরে একটু সতর্ক হয়েছি। কিন্তু পুলিশ কেন কিভাবে একটি ভুয়া মামলা নিল?”

এখন জীবিত মানুষটা যে বেঁচে আছেন সেটা প্রমাণ করতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন!

তবে এখানে বড় বিষয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে পদ্ধতিগত দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে।

তবে এই ঘটনা থেকে এটি স্পষ্ট যে,জুলাই আন্দোলনে এইরকম স্বার্থসিদ্ধির জন্য হাজার ভুয়া মামলা হয়েছে এবং স্বার্থ উদ্ধার হয়েছে। এখন জীবিতরা বেরিয়ে আসছেন।

গতবছর জুলাই- আগষ্ট নিয়ে কথিত বৈষম্যবিরোধীরা কি করেছে তার প্রমাণ মিলছে এই ঘটনায়! এই ষড়যন্ত্র এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

এই ঘটনা শুধু ট্র্যাজেডি নয়, বরং দেশের বিচার ব্যবস্থা ও তদন্ত প্রক্রিয়ার বড় ব্যর্থতা তুলে ধরে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? কেন তারা যাচাই না করেই মামলা নিল?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *