ঢাকা: ইউনূসের চাইতে বড় ভিক্ষুক কে আছে? বিদেশি ভিক্ষার টাকা তো চুরি করেছেনই, সাথে বাংলাদেশের টাকা। কর ফাঁকি দিয়ে দেশ লুটেপুটে খেয়ে এখন সেফ এক্সিট খুঁজছেন।
এখন পাগল, রাস্তার ভিক্ষুকের কাছেও যত টাকা আছে, এত টাকা একজন সাধারণ মানুষের কাছেও নেই।
সিরাজগঞ্জ পৌর শহরে ‘সালেকা পাগলি’ (৮৭) নামের এক ভিক্ষুকের বাড়িতে দুই বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে গুণে দেখা যায় সেখানে রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের রায়পুর মিলগেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হঠাৎ সালেকার বসতঘরের পাশে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা পুকুরে ভেসে ওঠে।
পরে একজন বস্তাটি কৌতূহলবশত পুকুর থেকে তুলে দেখেন, ভেতরে টাকা ভর্তি আরও দুটি বস্তা। বস্তা দুটিতে এক, দুই, পাঁচ, দশ, বিশ, পঞ্চাশ ও শত টাকার অনেক নোট রয়েছে এবং পয়সাও আছে।
৫-৭ জন মিলে প্রায় চার ঘণ্টা গুণেছেন, সেখানে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আবার বেশ কিছু টাকার নোট ছিঁড়ে অচল হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ভিক্ষুক সালেকা পাগলি ওই এলাকার মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী। তাকে সবাই ‘সালেকা পাগলি’ নামেই চেনেন।
তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভিক্ষা করে প্রতিদিন যা উপার্জন হতো তা তিনি সঞ্চয় হিসেবে দুটি বস্তায় সংরক্ষণ করে রাখতেন।
যে টাকাগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো স্থানীয়রা হিসাব করে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন।
