ঢাকা: অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই কি অন্যায়?
বাংলাদেশে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি-অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে নিগৃহীত হচ্ছেন।
বদলি করে দেয়া হচ্ছে তাদের। যেমন পটিয়া থানার ওসিকে সন্ত্রাসী বিএনপির একটু হুমকিতেই প্রত্যাহার করে দেয়া হলো।
এবার পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১০ পুলিশ সুপারসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি করে দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (৯ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ (পুলিশ-১) এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহামান।
বদলি আদেশ হওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি’র মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের রেবেকা সুলতানাকে সিআইডিতে, রাজশাহী সারদার ফয়সল মাহমুদকে সিলেট রেঞ্জে, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট-এটিইউ’র মো. আশরাফুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে, পুলিশ সদর দপ্তরের ফারুক আহমেদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তরে, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মো. মিজানুর রহমানকে ঢাকার ট্রাফিক ড্রাইভিং স্কুলে (টিডিএস) বদলি করা হয়েছে।
আর ১০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়াকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে, বরিশাল ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মো. সাখাওয়াত হোসেনকে রাজারবাগ পুলিশ টেলিকমে, হাইওয়ে পুলিশের মো. খাইরুল ইসলামকে ট্যুরিস্ট পুলিশে, পিবিআইয়ে বদলির আদেশপ্রাপ্ত খন্দকার নুর রেজওয়ানা পারভীনকে পুলিশ সদর দপ্তরে, নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসি) মীর আবু তৌহিদকে সিআইডিতে, ট্যুরিস্ট পুলিশের মো. মিজানুর রহমানকে এপিবিএনে, খুলনা মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে সিআইডিতে, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের সৈকত শাহীনকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, এটিইউয়ের কাজী মো. আবদুর রহীমকে চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে, সিআইডির মো. আব্দুল্লাহ আল ইয়াছিনকে বরিশাল ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।
প্রথমে চাকরি বদলি, তারপর ভীষণ নোংরাভাবে চাকরিচ্যুতি। এই তো আজকের বাংলাদেশ!