ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দেশে এক শতাংশ হিন্দুও যেদিন অবশিষ্ট থাকবে না, সেদিন হয়তো এই যজ্ঞ থামবে। বাংলাদেশে এখনো যে ৪% থেকে ৫% অবশিষ্ট হিন্দু আছেন তাঁদের তাড়িয়ে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনা চলছে।
প্রায় প্রতিদিন হিন্দু নিধন চলছে বাংলাদেশের জেলায় জেলায়। ঘটে চলেছে অপহরণ, অত্যাচার, নির্যাতন, নারীদের ওপর সন্ত্রাস, ঘরবাড়ী লুট, অগ্নি সংযোগ, ঘরবাড়ী দখল ইত্যাদি। সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব, কেন?
ড. ইউনুস আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বলেন তাঁর দেশের হিন্দু নিরাপদে আছে, এই তার নমুনা?
হিন্দুদের আচার আচরণ, সংস্কৃতি, সন্তানদের খেলাধুলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান কোনোকিছুই এই দেশে আর স্বাধীনভাবে হবে না।
যশোর এর অভয়নগর এর ২০ টি হিন্দু মতুয়া সম্প্রাদায়ের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুরা বলছেন, ‘আমি গাজা দেখিনি। তবে, অভয়নগর, রামু, নাসিরগর দেখেছি’।রাতে আগুন দেওয়ায় গবাদিপশু ও হাঁস মুরগি সব পুড়ে ছাই হয়।
২০১৪ সালের যশোর অভয়নগরের মালোপাড়ায় হামলার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে সকলের। আবার সেই অভয়নগরের আরেকটি হিন্দু গ্রাম ডহর মশিয়াহাটি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। আগুনের উৎসব চলেছে।
এটি ফিলিস্তিনের গাজা নয়, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় এটি বাংলাদেশের যশোর। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরের অবস্থা পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের তো সর্বক্ষণ কাফের বলে গালাগাল করা হয়! এই যে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে নিজের ইচ্ছা মতো, মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষণ করছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে, এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর থেকে কোনো অংশে কম কি?
দেশে যা কিছু হোক, যে কোনো ঘটনা ঘটুক, শেষ পর্যন্ত সেটা শেষ হয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে। যেন এটাই বিধি।
এই যে আগুনে পুড়ল ১৮টি ঘর, যে আগুন চার ঘণ্টা ধরে জ্বলেছে অথচ প্রশাসন এসে পৌঁছাল রাত এগারটার পর, এটাই মোহাম্মদ ইউনুসের প্রশাসনিক কাঠামোর আসল চেহারা।
সংখ্যালঘুরা হলো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। এই জন্যই বারবার তারা টার্গেট হয়—কখনো দুর্গাপূজায়, কখনো জন্মাষ্টমীতে, এবার যজ্ঞে। কারণ এসব ধর্মীয় অনুশীলন এদের চোখে অপরাধ। মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা য় ভরে গিয়েছে দেশ।
মতুয়ারা এই দেশে বহুবছর ধরে বাস করছে, তারা ভূমিপুত্র, এ মাটির গন্ধ তাদের চেনা, বাতাস গায়ে মাখে, অথচ এক রাতেই তারা হয়ে গেল উদ্বাস্ত।