ঢাকা: ১৮ বিচারককে হঠাৎ অবসর!রাষ্ট্রপতির আদেশে টলমল বিচারব্যবস্থা?
বাধ্যতামূলক অবসরগুলো কেন দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগে? জোর করে অবসর দেয়া হচ্ছে!
বলা হচ্ছে জনস্বার্থে! কিন্তু জনগণের স্বার্থ কে দেখছে? অন্তর্বর্তী সরকার? ইউনূস জামাত শিবির তো জনগণের স্বার্থ খেয়ে বসে আছে।
আশ্চর্যজনকভাবে একই রাতে অবসরে পাঠানো হলো ১৮ জন অধস্তন আদালতের বিচারককে।
আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বলছে, চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত।বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শে এই ‘জনস্বার্থে’ অবসর কার্যকর।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটা কি শুধুই নিয়ম, নাকি চলছে অদৃশ্য ছাঁটাই?বিচার বিভাগে গোপন পুনর্গঠন?
বিচারকদের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিচারককে ঘাড় ধরে অবসর করিয়ে দেয়া হলো।
নিম্ন আদালতের ১৫ জন জেলা ও দায়রা জজ মর্যাদার কর্মকর্তাসহ ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
তাদের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা রয়েছেন।
এর বাইরে বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলার বিশেষ জজ এবং বিভিন্ন ট্রাইবুনালে বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আইন বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। হঠাৎ হঠাৎ অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
১৮ জন বিচারক হলেন, জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার সাহা, রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মাহবুবার রহমান সরকার, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ গোলাম মাহবুব, গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মজিবুর রহমান, ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এহসানুল হক, খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) জুয়েল রানা, সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মনির কামাল, পটুয়াখালীর বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) সহিদুল ইসলাম, দিনাজপুরের বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, টাঙ্গাইলের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. নাজিমুদ্দৌলা, ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ. কে. এম. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) ফজলে এলাহী ভূইয়া, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (জেলা ও দায়রা জজ) আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা ও দায়রা জজ) মো. রুস্তম আলী, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. নুরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ. কে. এম. এনামুল করিম, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ হোসেন।