ঢাকা: দুর্গাপূজা চলেই এলো। তবে বাংলাদেশে শারদীয় শুভেচ্ছা জানানো ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মুসলমানদের। মৌলবাদীরা ইতিমধ্যেই প্রতিমা ভাঙচুর শুরু করে সেই শুভেচ্ছা জানানো শুরু করেছে।

কী অদ্ভুত এই পোড়ার দেশ! যেখানে হিন্দুরা দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে আসছে শুধু একটা ধর্মের কাছে। তবে স্বীকার করে না মুসলমানরা।

পূজা শুরুর আগেই প্রতিমায় আগুন ধরেছে—অবৈধ ইউনুস সরকারের প্রশ্রয়ে উগ্রপন্থীদের সনাতন ধর্মে বর্বর আক্রমণ!

তাই যতই দফার নির্দেশ দিক সরকার, সষাতনীদের এইসবে আর বিশ্বাস নেই।

বাংলাদেশের ইউনুস সরকার সেদেশে আয়োজিত হতে চলা দুর্গাপুজো ঘিরে ১৮ দফা নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুর্গাপুজোয় আইনশৃঙ্খলা ধরে রাখতে টহল দেবে পুলিশ, র‍্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

অপ্রত্যাশিত ঘটনা রোধে পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন, ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানো রোধে সোশ্যাল মিডিয়া ঘিরে সতর্কতা ধরে রাখতে হবে। পুজো কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।

নির্দেশে বলা হয়েছে, প্যান্ডেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।

পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে দমকল, বিভিন্ন বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশানের মধ্যে সংযোগ রাখতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা প্যান্ডেলে যেখানে দেখা যাবে, সেখানে টাঙিয়ে রাখতে হবে।

এছাড়াও প্যান্ডেলের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনও কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

প্রতিমা ভাঙচুর রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ইত্যাদি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *