ঢাকা: এনসিপি পালিয়ে বাঁচলো শেষ পর্যন্ত। সেনাবাহিনীর কামানের ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে গোপালগঞ্জ ছাড়লো টোকাইর দল এনসিপি নেতারা।
নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমরা গোপালগঞ্জে আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগের প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
সামরিক বাহিনীর গাড়িতে করে কড়া পাহারার মধ্য দিয়ে জঙ্গী এনসিপি’ র নেতা হাসনাত, সারজিসসহ অন্য নেতাদেরকে অগ্নিগর্ভ গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সেখানে সার্কিট হাউসে তাদেরকে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখা হয়েছে জামাই আদরে। রাত নয়টায় তারা সংবাদ সম্মলন করে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায় যে গোপালগঞ্জে ১২ জন মারা গেছেন । ৭ জনের লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কারফিউ চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না।
পুলিশ-সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন ছাত্র লিগের কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম জানা গিয়েছে। তিনি দীপ্ত সাহা।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা তিনি এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই। বাকিদের নাম জানাতে পারেনি আওয়ামী লিগ।