ঢাকা: নেই কোন অভিযান! পুলিশের লুট করা অস্ত্র দিয়ে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষ!
মোহাম্মদপুর দিনে দিনে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর উৎপাত ভয়াবহভাবে বেড়েছে। সন্ধ্যার পর লোকজন ঘরের বাইরে বেরোতে ভয় পায়।
মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্পে মাদক কারবারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে কিশোর শাহ আলম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন-নাসির হোসেন নাশু, ফাইয়াজ হোসেন, মো. রাসেল, মো. হিরা, মো. আল আমিন, মো. জামিল, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. গোলাম রসুল, মো. মোস্তাক, মো. সাইদ হোসেন, মো. শুভ, মো. রাকিব, মো. সেলিম, মো. শাওন, মো. মাসুদ রানা, মো. আকাশ, মো. ইসতিয়াক, মো. রাশেদ, মো. রাসেল, মো. রাজ, মো. রাজিব, মো. বশির, মো. পাপ্পু, শাহ আলম, মো. আজাদ হোসেন ও ফয়সাল হোসেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মাদকের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত জেনেভা ক্যাম্প।
তবে ঘটনা ঘটলে পুলিশ একটু হেলদোল করে, তারপর যেই সেই।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র বহন করত।
১১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ফলে ১১ আগস্ট বিকেলে শাহ আলমকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যা ঘটনায় ১৩ আগস্ট নিহতের বাবা মো. রুবেল মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।