ঢাকা: অবৈধ দখলদার ইউনুসের দুঃশাসন আরো তীব্র হচ্ছে। তাঁর আমলে বাড়ছে হত্যা, নির্যাতন, লুট, সন্ত্রাস।

নিরাপত্তার অভাব ও আর্থিক দুর্গতিতে বেহাল সাধারণ মানুষ। হামলা মামলার ভয় উপেক্ষা করে মানুষের পক্ষে প্রতিবাদমুখর শুধু আওয়ামী লীগ। বাকি সবাই ব্যস্ত ক্ষমতা তোষণে।

ইউনুস আছে তার ব্যবসা নিয়ে মানুষ মরলো না বাঁচলো তার দেখার বিষয় নয়। এখন প্রতিদিন ১০/১৫ টা হত্যা হচ্ছে আর কিছুদিনের ভিতরে তিনি মৃত্যুপুরী বাংলাদেশ উপহার দেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, চলতি বছরের ৮ মাসে ২ হাজার ৬১৬টি খুন এবং ১৫ হাজার ৪৯টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

তবে এই সংখ্যাটাও মিথ্যা। এই সরকার পুরোটাই মিথ্যা।

অন্তর্বর্তী সরকার রক্তের মহাসাগর বানিয়েছে এই দেশকে। তার মধ্যে থেকে এক বিন্দু জানালো জনগণকে সাফাই দেবার জন্য। আর এর মাঝেও শেখ হাসিনাকে টেনে নিয়ে এসেছে এই মিথ্যাবাদী সরকার।

আর না বলেছে, কারাগারে আওয়ামী লীগ হত্যার কথা।

অথচ নিজেদের ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের কথা বললো না, আর না বললো ২১ আগস্টের খুনীদের ছেড়ে দেবার কথা। আর মাইলস্টোনের ঘটনার দিন ইউনূসের পৈশাচিক হাসির কারণ! অদ্ভুত!

আজ মঙ্গলবার ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অপরাধের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক সার্বিক চিত্র প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং।

প্রেস উইংয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শেষ ১৩ মাসে খুনের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত কমপক্ষে ১ হাজার ১৩০টি খুনের ঘটনায় গণ-অভ্যুত্থানের পরে অর্থাৎ ৬ আগস্ট, ২০২৪ সালের পর থেকে এই বছরের আগস্টের মধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।

অনেক হত্যা মামলা পূর্বে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি, পুলিশকেও মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।’

এছাড়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালে খুনের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৩, ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৪০। অন্যদিকে ২০২৩ সালে ১৮ হাজার ৯৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে এবং ২০২৪ সালে ১৭ হাজার ৫৬৪ টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *