ঢাকা: দেশ তো দেশ হয়ে নেই এখন! একবছরে উলোটপালট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। মহাজন ইউনূস দেশটাকে খেয়ে একদম শেষ করে তারপর যাবেন!

আর প্রবাসেও বাংলাদেশিদের সম্মান হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতসহ যে দেশে যাচ্ছে সে দেশেই ধাক্কা খাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক বিজয় হয়েছে ইত্যাদি বলে কত লাফালেন ইউনূস, কূটনৈতিক বিজয় হলে বাংলাদেশিদের আদর করছে না কেন আমেরিকা?

সেই তো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছে। আটকাতে সারছেন মহাজন?

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবার এক নারীসহ ৩৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শনিবার ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একটি বিশেষ সামরিক বিমানে (সি-১৭) করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

দীর্ঘ ৬০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে তারা ঢাকায় পৌঁছান।

এই যাত্রায় তাদের হাতে ছিলো হাতকড়া! এত অসম্মান বাংলাদেশিদের। অথচ আগে এমন ছবি ছিলো না।

৩৯ জনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন,

আমরা যতটা জেনেছি, ফেরত আসাদের কেউ কেউ ঘরবাড়ি বিক্রি করেছেন, ধার-দেনা করে কেউ ৩০ লাখ, কেউ ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে মেক্সিকো বা দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ হয়ে অনিয়মিত পন্থায় পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

এরপর আশ্রয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

জুলাই জুলাই করে জুলাইর ছেলেরা পুরো দেশটাকে শেষ করছে মিডিল ইস্ট এর যতগুলো দেশ আছে সবগুলো প্রবাসের জীবনকে আতঙ্কিত করে ফেলছে।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখন আতঙ্কের নাম। যেমন হয়েছে পাকিস্তানের। জঙ্গী রাষ্ট্রকে সব দেশকে ভয় পেতে শুরু করেছে, ঘেন্না করা শুরু করেছে!

এই ঘটনাগুলো আরব আমিরাতে ঘটার পর থেকে সব রকম ভিসা বন্ধ করা হয়েছে আবুধাবি থেকে অনেকগুলা লোককে জেলে নিয়ে গেছে , এই ঘটনাগুলো ঘটার আগে ভিজিট ভিসা এবং ফ্যামিলি ভিসা চালু ছিল ঘটনাগুলো ঘটার পরে সেগুলোও বন্ধ হয়েছে।

প্রবাসীদের জীবন এভাবেই শেষ করেছেন ইউনূস।

শুধু আরব আমিরাত না, পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ফেরাতে শুরু করেছে বাংলাদেশকে শুধু পাকিস্তান ছাড়া।

হাজার হাজার প্রবাসী এখন আরব আমিরাতের অবৈধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত এই এনজিওর সরকার আর দালালরা এতগুলা প্রবাসীর পরিবারকে আতঙ্কিত এবং হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

নাদির নিরবাস বলেছেন, ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষের রিজেকশন লেটার দেখে বাতিলের কারণ হিসেবে মনে হয়েছে, তারা হয়তো মনে করেছে, বাংলাদেশি একজনের ৪০ দিন ভিয়েতনামে গিয়ে ঘোরার টাকা নেই।

পরে শুনি বাংলাদেশ থেকে কোনো লোকই নিচ্ছে না, কারণ সেদেশে লোক ঢুকে আর বের হচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও অবৈধভাবে লোক গিয়ে অনেকে বের হচ্ছে না।

তাজিকিস্তানে গিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশিরা রাশিয়ায় যাচ্ছে। এসব কারণে এসমস্ত দেশে ভিসা আবেদন বাতিল করছে। তাছাড়া নেদারল্যান্ডসে মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আবেদন করার পর তারাও রিজেক্ট করেছে।

বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে নাদির নিরবাস বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট শেষ হওয়ার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের নাগরিকরা বিদেশে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে যাচ্ছে, বের হচ্ছে না।

বাংলাদেশিদের টেন্ডেন্সি বেশি এই ভাবা যে, অন্য দেশে গেলেই জীবন সেট, যেটা সঠিক নয়। পড়াশোনা করতে গেলে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু যাদের পড়াশোনা করার সুযোগ নেই তারা যদি বলে অবৈধ পথ ছাড়া সুযোগ নেই। তখন আমি বলব যে, আরেক বার চিন্তা করে দেখেন।

অবৈধভাবে গেলেই যে ভাল লাইফ, সেটা নয়। উল্টা বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ লাইফে পৌঁছাতে পারেন। বাংলাদেশকে কেউ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। কারণ, এ দেশ থেকে ইউরোপে যারাই যাচ্ছে তারা অবৈধভাবে থেকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। আমি ৫ বছর আগে একটি ভিডিও বানিয়েছিলাম, বাংলাদেশ পাসপোর্ট নিয়ে কোন ৪৮ দেশে যাওয়া যায়।

আর সত্যি বলতে ঐ ভিডিওটা বানানোর সাথে সাথেই প্রায় তা আউট অব ডেট হয়ে গিয়েছিল। কারণ, এটা খুবই ফাস্ট চেঞ্জিং একটা টপিক। তবে আমি আপনাদের একটি কথা বলব যে, দিন দিন বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, ভাল হচ্ছে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *