ঢাকা: সেনাবাহিনী যেখানে মূল জায়গায় অভিযান চালানোর সেখানে হাত পা গুটিয়ে বরং জঙ্গীদের কথাতেই সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালাচ্ছে।

অথচ একটি রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর স্বাধীনভাবে কাজ করা দরকার। তা তো করছেন না এরা। বরং সেনার পায়ের নীচে পিষ্ট হচ্ছে জনগণের প্রাণ।

খবর আছে, ঢাকা শহরেই জুলাইয়ের তাণ্ডবে ব্যবহৃত হয়েছে অন্তত ২০০টি স্নাইপার রাইফেল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এই ভয়াবহ অস্ত্রগুলোর সন্ধান বের করাটা কী সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নয়?

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই স্নাইপার অস্ত্রগুলো রাজধানীতে সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োগের সঙ্গে পাঁচজন শীর্ষ সংগঠক সরাসরি যুক্ত ছিল।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিল:

সারজিস আলম, হাসনাত, মাহফুজ, আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ও আখতার।

বিভিন্ন জায়গায় বিপজ্জনক অস্ত্র মজুত রয়েছে।

শিবির নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি  কোচিং সেন্টার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে গঠিত গোপন ঘাঁটি অস্ত্রের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

সব মিলিয়ে জনমনে মারাত্মক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সামান্য কিছু ধরে লোক দেখানো হচ্ছে কেবল।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে ককটেল ও বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী নয়ন ও তার ৩ সহযোগীকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভোরে মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— সন্ত্রাসী মো.নয়ন (২০) ও তার সহযোগী মো. হৃদয় (২৬), মো. মেহেদি হোসেন (২১) এবং মো. আল-আমিন (২১)।

জানা গেছে, অভিযানে বিভিন্ন আস্তানা তল্লাশি করে দু’টি ককটেল বোমা, বেশকিছু সামুরাই, চাপাতি ও বিভিন্ন প্রকার ছুরি জব্দ করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *