চট্টগ্রাম: ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গেলো চোখের নিমেষে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে একাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘটনায় দুই বছরের কন্যা সন্তান নাম “আয়েশা” মারা গিয়েছে। শিশুটি প্রাণ হারালো কালুরঘাট সেতুর ট্রেনের লাইনম্যানের গাফিলতির কারণে।
তাঁরা শহর থেকে টেক্সি করে কোরবানির উদ্দেশ্যে গ্রামে যাচ্ছিলেন বউ বাচ্চা নিয়ে। সাথে পিছনে আরো গাড়ি ছিল স্বাভাবিকভাবে ব্রিজ পার হচ্ছিল অপর দিক থেকে ট্রেন এসে মেরে দেয়।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন রাত সোয়া ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর উদ্ধার কাজ শেষে ট্রেনটি রাত সাড়ে তিনটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।
রাতেই উদ্ধারকার্য শেষ হয়েছে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা জানান, চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি প্রাইভেট কার, একটি কাভার্ড ভ্যান এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে।
কালুরঘাট সেতুতে পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং সাময়িকভাবে চারজন রেল কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জালানিহাট স্টেশন মাস্টার মো. নেজাম উদ্দিন বলেছেন, ট্রেনটি রাত ১০টা ১০ মিনিটে কালুরঘাট রেলসেতুর অদূরে পৌঁছায়।
ওই সময় সেতুর ওপরে একটি সিএনজি অটোরিকশা নষ্ট হয়ে গেলে যানজট তৈরি হয়। আমরা তখনই লাল সিগন্যাল দিই।
গার্ডও হাতে লাল পতাকা নিয়ে সিগন্যাল দেন। কিন্তু চালক সিগন্যাল একেবারে মানেননি। কালুরঘাট ব্রিজটি ডেড স্টপেজ হিসেবেই চিহ্নিত। এখানে ট্রেন থামিয়ে ধীরে ব্রিজে ওঠার নিয়ম। চালক তা মানেননি।
জালানিহাট স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ড মো. মাহবুব বলেন, আমি সিগন্যাল অমান্য হওয়ার সম্ভাবনা বুঝতে পেরে নিজেই সেতুর মুখে গিয়ে ট্রেন থামাতে লাল পতাকা নাড়িয়ে সংকেত দিই। তবুও ট্রেন চালক সেটি উপেক্ষা করেন।
চালকের অবহেলায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।