ঢাকা: ভিন দেশ থেকে ভারতে গিয়েও এরা নানান কর্মকাণ্ডে, সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। ভারতের আসামে এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে বাংলাদেশের ৫ শিক্ষার্থী।
ভারতের আসামের শিলচরের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)-তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর তাদের হোস্টেল থেকেও বের করে দেওয়া হয়।
এত উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্য দেশ থেকে গিয়ে এরা লেখাপড়া না করে সংঘর্ষ বাধাচ্ছে। মাদক সেবন করে হামলা চালাচ্ছে। উৎপাত দিনে দিনে বাড়ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর এনআইটিতে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
বাংলাদেশ থেকে এনআইটিতে পড়তে যাওয়া তৃতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী নিজ দেশেরই শেষ বর্ষের আরেকদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এর শাস্তিস্বরূপ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবং তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
এনআইটির পরিচালক অধ্যাপক দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেছেন ‘আমরা বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করেছি এবং ৫ জন প্রধান অভিযুক্তকে একটি শিক্ষাবর্ষের জন্য বরখাস্ত করেছি। ওই পাঁচ শিক্ষার্থী যে ক্যাম্পাসের ভেতর সহিংসতার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল, আমাদের কাছে তার পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে। এই ঘটনায় তাদের দুটি সেমিস্টারের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। যেহেতু এই সময়ে তাঁরা ক্লাস করতে পারবেন না, তাই তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হোস্টেলের ২০৬ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশি ৫ শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত অবস্থায় হামলা চালায়।
লোহার রড ও ছুরি নিয়ে শেষ বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃতীয় বর্ষের এই ৫ শিক্ষার্থী। হামলায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।
এর পরেই তদন্তে নামে এনআইটি কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত এক ছাত্রের ঘর থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এবং আরেক ছাত্রের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ছুরি ও লোহার রড।
বাংলাদেশে তো ছাত্র বলতে এখন আর কিছু নেই, সবাই আন্দোলনকারী। এখন ভারতে গিয়েও দা, কুড়াল নিয়ে এইসব শুরু করেছে।