ঢাকা:এনবিআর বা কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢালাওভাবে যা করা হচ্ছে, যা করছেন ইউনূস সেগুলো কী আসলেই দেশের স্বার্থে ভেবেচিন্তে করা হচ্ছে নাকি কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে বা ক্ষোভের বশে সব করা হচ্ছে।

এগুলো কী রাজস্ব আদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না? যেভাবে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে সেটা অন্যায়!

যে কেউ বুঝবে এগুলো হয়রানি। আর এই দেশে দুদক সবসময় সরকারকে খুশি করে চলে এটা কে না জানে?

এর আগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠালো সরকার। সরকারী কর্মচারী আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে। অথচ ওই আইনে স্পষ্ট বলা আছে বিচার বিভাগের জন্য এই আইন প্রযোজ্য নয়। কীসের ভিত্তিতে এগুলো হচ্ছে?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ওই পাঁচ কর্মকর্তা হলেন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, কর অঞ্চল-০৭-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার সুলতানা হাবীব, ফরিদপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মেসবাহ উদ্দিন খান এবং দিনাজপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১২ মে ঘোষিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর বিরোধিতা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করলে এই পাঁচ কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *